নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের নেতা হিসেবে পরিচিত মিলনকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের মা সহিতুন নেছা বাদী হয়ে আজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে থানায় হত্যা মামলা করেন। এর আগে দুপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে মিলন নামের ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, মিলনকে সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে অজ্ঞাতনামা আসামিরা আটি গ্রামের দুবাই প্রবাসী শাহজাহানের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার ওপর গণপিটুনি ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. মোকলেছুর রহমান বলেন, কারা কী কারণে মিলনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি ওই এলাকার এক মসজিদের ইমামের বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২১ জানুয়ারি রাতে মিলনের সহযোগী উজ্জ্বল আহম্মেদ ও হৃদয়কে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ একাধিক মামলার আসামি মিলন দলবল নিয়ে ২২ জানুয়ারি দুপুরে তার সহযোগীদের আটক করা গ্রামবাসীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালান। এ সময় মারধর করে দুবাই প্রবাসী শাহজাহানকে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তখন সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। মাইকিং শুনে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী একত্র হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় অন্যরা দৌড়ে পালাতে সক্ষম হলেও মিলনকে ধরে গণপিটুনি দেয় লোকজন। এতে তার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন