পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবর রহমান মোল্লা (৫৮)-কে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগে সাপলেজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিরাজ মিয়াসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভুক্তভোগী মজিবর বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ( ২৫ জানুয়ারি) মঠবাড়িয়া থানায় মিরাজসহ তার আরও ৫ সহযোগীর নাম উল্লেখসহ আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মজিবর তার ভাগ্নে মিরাজের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তারা মামা-ভাগ্নে আলাদা দুই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিল। তবে এ নির্বাচনেও মিরাজের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম শাহনেওয়াজ বিজয়ী হয়। এ নিয়ে মজিবর এবং তার ভাগ্নে মিরাজের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জেরে মিরাজ বিভিন্ন সময় তার মামাকে অপমান অপদস্ত করেছে। সর্বশেষ গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে মজিবর সাপলেজা বাজারে একটি স্বর্ণের দোকানে অবস্থান করছিল। তখন মিরাজ এবং তার সহযোগীরা লাঠি, হকস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রসহ স্বর্ণের দোকানে প্রবেশ করে মজিবরের ওপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে মজিবরকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে চেয়ারম্যান মো. মিরাজ মিয়া।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বাজারে প্রকাশ্যে মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান মোল্লাকে মারধর করায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এর পূর্বেও তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন