বরগুনার তালতলীর একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক বলছেন, ‘আমি তো বাচ্চাকে মেরে ফেলিনি? এইটুকু কাটলে কী মানুষ মারা যায়?’ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) তালতলীর দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুর স্বজনরা জানান, লিপি আক্তার উপজেলার বড় বগী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের তালতলী বাজারের বাসিন্দা মোহাম্মদ সোহাগের স্ত্রী। প্রসব ব্যথা উঠলে শনিবার দুপুরে তাকে তালতলীর দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাতে ক্লিনিকের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রুনা রহমান ওই প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন করেন। দীর্ঘ সময় পর নবজাতককে স্বজনদের কাছে দেওয়া হলে তখন শিশুটির পিঠ কাটা দেখতে পাওয়া যায়। ওই সময় কাটাস্থান থেকে রক্ত বের হচ্ছিল।
শিশুটির বাবা মোহাম্মদ সোহাগ বলেন, ‘অপারেশন থিয়েটারে নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনতে পাই আমরা। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর শিশুটিকে আমাদের কাছে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর আমার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হয়। তখন নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলার কথা আমাদের জানানো হয়। পরে আমরা যাচাই করে এর সত্যতা পাই। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে চিকিৎসক রুনা রহমান আমাদের ওপর চড়াও হন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার না করলেও শিশুর পিঠ কাটার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি দেন চিকিৎসক রুনা রহমান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক রুনা রহমান বলেন, ‘আপনি আমার সুবিধা দেখবেন, আমি আপনারটা দেখব। আমি কী বাচ্চাকে মেরে ফেলেছি।’
এ বিষয়ে বরগুনার তালতলী থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, এ ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। ভুক্তভোগী নবজাতকের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন