নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি মো. আবদুল মালেককে (২৬) চট্টগ্রামের মসজিদের কক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে পালাতে সহযোগিতা করায় তার বড় ভাই মো. আবদুল খালেককেও (৩৫) আটক করা হয়।
শনিবার (৮ জুলাই) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিন ভোররাতে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা এলাকার হাজী পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে গত ৩০ জুন সকালে বেগমগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নে রাস্তার পাশে টয়লেটের আড়ালে নিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুকে (৮) ধর্ষণ করে আবদুল মালেক। সে ওই গ্রামের মমিন উল্যাহর ছেলে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ওইদিন শিশুর বাবা বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে পরিবারের সহযোগিতায় তিনি কক্সবাজার পালিয়ে যান। পরে বড় ভাই আবদুল খালেক তাকে চট্টগ্রাম এনে তার বাসার পাশে মসজিদের একটি কক্ষে লুকিয়ে রাখেন এবং পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি কালবেলাকে বলেন, সর্বোচ্চ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আবদুল মালেককে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার হাজীপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার ভাইকেও আটক করা হয়। পরে শনিবার বিকেলে দুই ভাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্র জানায়, ঘটনার পর থেকে শিশুটিকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের দাবি, মামলা তুলে নেওয়ার হুমকিসহ ডাক্তারি প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত না লিখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নানাভাবে তদবির করছেন আসামির লোকজন।
তবে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। তবুও কারও কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তত্ত্বাবধায়কের কাছে জানানোর অনুরোধ করছি।
মন্তব্য করুন