ট্রাস্ট ব্যাংকের করা ১৮৮ কোটি ঋণখেলাপি মামলায় রতনপুর স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিল (আরএসআরএম) গ্রুপের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমানসহ চার মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়া চারজন হলেন- আরএসআরএমের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান, গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান, পরিচালক মারজানুর রহমান ও মো. আলাউদ্দিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম কালবেলাকে বলেন, আদালতের আদেশক্রমে বিবাদীগণ আদালতে হাজির না হওয়ায় আরএসআরএম এর মালিকদের বিরুদ্ধে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে মডার্ন স্টিল মিলস লিমিটেডের নামে নেওয়া ১৮৮ কোটি ২৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩০৭ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য চার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ট্রাস্ট ব্যাংক সিডিএ এভিনিউ শাখার ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রেদওয়ানুল হক। ঋণের বিপরীতে এই গ্রুপের কোনো স্থাবর সম্পত্তি সহায়ক জামানত হিসেবে ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ নেই। ট্রাস্ট রিসিট এবং পার্সোনাল গ্যারান্টিতে বিপুল পরিমাণ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
ঋণগুলো ২০১৫ সালে পুর্নগঠন এবং ২০১৯ সালে পুনঃতপশিল করা হয়। তবু তারা টাকা পরিশোধ করেনি।
গত বছরের ১৬ জুলাই মাকসুদুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। ৩১ জুলাই তারা আদালতে হাজির হন। ২৭ নভেম্বর মিজানুর রহমান ও মাকসুদুর রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য সিংগাপুর যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন। এ বছরের ১৪ জানুয়ারি ওই দরখাস্তের শুনানির জন্য আবেদন করলে আদালত ১৭ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করে। সেদিনও তারা উপস্থিত হননি।
সর্বশেষ ১ ফেব্রুয়ারি বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আগের দরখাস্ত শুনানির জন্য তারা আবারও আবেদন করে। তাদের উপস্থিতিতে ৮ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। এদিনেও আদালতে উপস্থিত না হয়ে তারা আবারও সময়ের আবেদন করেন। এবার আবেদন নামঞ্জুর করে আরএসআরএমের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান, গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান, পরিচালক মারজানুর রহমান ও মো. আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, মাকসুদুর রহমান এবং মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে খেলাপি ঋণের ১০টি মামলা চলমান আছে। এসব মামলায় বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দাবি প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এসব মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে ডিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন