চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর হয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন সালমা খাতুন নামে এক ভুয়া পরীক্ষার্থী। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে শনাক্ত করে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে এক বছরের কারাদণ্ড ও দুইশত টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কাজী মারজাহান নিতু আলমডাঙ্গা উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পৌর এলাকার বাবুপাড়ার মৃত কাজী কামালের মেয়ে। দণ্ডপ্রাপ্ত সালমা খাতুন (২৪) উপজেলার রাধিকাগঞ্জ গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চলমান বিএ/বিএসএস-এর ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নেন আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদান করা তার কার্ডের আইডি নাম্বার ২০০২৩৪০৬০৮৪। কিন্তু তার পরিবর্তে পরীক্ষার হলে প্রক্সি দিচ্ছিলেন সালমা খাতুন নামের আরেক নারী। বিষয়টি টের পেয়ে সালমা খাতুনকে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। খবর পেয়ে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ৩ ধারা অনুযায়ী ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক বছরের জেল ও আরও দুইশত টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ জানান, পরীক্ষা চলাকালীন অবস্থায় কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ভুয়া পরীক্ষার্থীকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। আর যিনি প্রকৃত পরীক্ষার্থী তাকেও শনাক্ত করা গেছে। তার ব্যাপারে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজান নিতুর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দণ্ডপ্রাপ্ত সালমা খাতুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আলমডাঙ্গা থানার ওসি গণি মিয়া।
মন্তব্য করুন