রিয়াদ হোসেন রুবেল, বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৩২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বালিয়াকান্দিতে ফসলি জমিতে মাটি কাটার ধুম, নীরব প্রশাসন

ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন। ছবি : কালবেলা
ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন। ছবি : কালবেলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার কৃষি জমি রক্ষার তাগিদ দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা আমলে না নিয়ে দিচ্ছে মাটি কাটার অনুমতি। ফলে দিন দিন বালিয়াকান্দি উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় কমছে কৃষি জমির পরিমাণ, নষ্ট হচ্ছে সড়ক।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় দিনে রাতে ভেকু দিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। এতে হারিয়ে যাচ্ছে শত শত বিঘা কৃষি জমি, পরিণত হচ্ছে জলাশয়ে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এভাবে মাটি কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে মানচিত্র থেকে উধাও করে দিচ্ছে কৃষি জমি। যদিও কৃষি জমি রক্ষায় সরকারের কড়া নির্দেশ রয়েছে। এরপরও সেগুলো রক্ষা হচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না।

সংশ্লিষ্টরা ভেকু দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে ২০ থেকে ৫০ ফুট গভীর গর্ত করে কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে ফসলি জমি চিরতরে মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে। সেগুলো হয়ে যাচ্ছে জলাশয়। এভাবে গভীর গর্ত করায় পাশের কৃষি জমিও ভেঙে পড়ছে। ফলে কিছু কিছু জমির মালিক বেশি টাকার লোভে মাটি বিক্রি করলেও অনেকেই বাধ্য হয়ে বিক্রি করছেন।

গভীর গর্ত করে মাটি কেটে নেওয়ায় বেশ কিছু এলাকায় শত শত একর কৃষি জমি জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে এসব মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে। গভীর গর্ত করে মাটি কাটায় পরিবেশ ও প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। যা জলবায়ুর ওপর প্রভাব পড়বে। এভাবে কৃষি জমি নষ্ট করায় ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে।

এদিকে উপজেলার বহরপুর আবাসনের ফসলের মাঠের মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয় জেনেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদেরও কোনো মাথাব্যথা নেই। পরিবেশ ও প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে কৃষি জমি থেকে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কেটে নিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করছে অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা।

বহরপুর আবাসনের পাশে কৃষি জমি থেকে মাটি খননে হতাশা জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, এর পাশে আমার ভুট্টা ক্ষেত। গতকাল বাড়ি এসে দেখি সেখানে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার পাঁয়তারা চলছে। আমি বাধা দিলে মাটি কাটা বন্ধ করে। কিন্তু ওরা তো প্রভাবশালী। আজ বন্ধ করছি, কালকে হয়তো বাধ্য হয়েই কাটতে দিতে হবে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাল ভারতের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

ইমিগ্রেশনের সময় যে ৭ কথা বললেই মহাবিপদ

সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর

৮ মামলায় ইমরান খানের জামিন

মাদ্রাসাপ্রধানদের জন্য অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

বরাদ্দ পেল বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

একদিনের সফরে কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

যে বয়সের আগেই শিশুকে ৮ শিক্ষা দেওয়া জরুরি

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা প্রধান শিক্ষকের, তদন্তে কমিটি

১০

চট্টগ্রাম-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী মিল্টন ভুঁইয়া

১১

বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

১২

ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার ৮ কৌশল

১৩

বাড়ির আঙিনায় বিষধর পদ্মগোখরা, অতঃপর...

১৪

মোবাইল দিয়েই ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো ছবি তোলার ৫ কৌশল

১৫

বরইতলা নদীর ‘বাঁধ’ এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর

১৬

ইস্পাত খাতে বিশেষ তহবিল চান ব্যবসায়ীরা

১৭

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহী পাকিস্তান

১৮

উপকূলজুড়ে টানা বৃষ্টিপাত, জনজীবনে দুর্ভোগ

১৯

উমামা-সাদীর নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

২০
X