লালমনিরহাটে আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের চন্দনপাট গ্রামের সতী নদীর সাগরঘাট নামক সেতুটি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে ৪ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে এলাকাবাসী কিন্তু সেটিও জরাজীর্ণ। ফলে সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা। দুর্ভোগ লাঘবে সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কমলাবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনপাট গ্রামকে বিভক্ত করেছে এই সতী নদী। নদীর ওপারে চন্দনপাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাবনাডালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাসকিয়াতুল উলুম মাদ্রাসা। শুষ্ক মৌসুমে কোনোমতে পার হতে পারলেও বর্ষায় ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারে না। হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া, জমি থেকে ধান কেটে নেওয়া এবং মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ যেতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সেতু না থাকায় ৪ কিলোমিটার ঘুরে আদিতমারী উপজেলায় যেতে হয়।
ভুক্তভোগী আবুল কাশেম জানান, জন্মের পর থেকে দেখছি এই গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ। এ বিষয়ে বারবার মন্ত্রীর কাছে গেলেও শুধু আশ্বাস দেন। আমরা আর আশ্বাস চাই না, এবার ব্রিজ চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম জানায়, এই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি মরহুম মজিবুর রহমান ব্রিজের আশ্বাস দিলে কয়েকবার মাপজোখ হলেও পরে ব্রিজ হয়নি। এরপর বর্তমান সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ প্রথমবার নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং দ্বিতীয়বার নির্বাচনের আগে তিনি নিজে এসে বলেছিলেন সেতু এবং রাস্তার কাজ শুরু হবে। তৃতীয় ধাপে তার মেয়াদকাল শেষপর্যায়, তবু মেলেনি সেতু। তৃতীয় দফায় সরকার নির্বাচিত হওয়ার পরও সমস্যা সমাধানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি মিলেছে বারবার। কিন্তু আজও প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়নি। এ জন্য প্রতিশ্রুতি নয় এবার সেতু নির্মাণের দাবি আমাদের। ব্রিজটি হলে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের যেমন সুবিধা হবে তেমনি জীবনযাত্রার উন্নয়ন হবে।
এ বিষয়ে আদিতমারি উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম বলেন, সাগরঘাট ব্রিজের মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম চলমান।
মন্তব্য করুন