শৃঙ্খলা-নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপের দায়ে নুর গাজী নয়ন নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইমুল ইসলাম রাব্বি। তার বিরুদ্ধে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ধীরাজ কুমার বিশ্বাসকে মারধর করার অভিযোগ রয়েছে।
নুর গাজী বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আমতলী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুরাদ হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক সাইমুল ইসলাম রাব্বির স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে নুর গাজীকে সাময়িক অব্যাহতির নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী সাত দিনের মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সেলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বরগুনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইমুল ইসলাম রাব্বি কালবেলাকে বলেন, আমতলী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়ায় নয়নকে তার পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত কারণে তিনি মারধর করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে আমতলী পৌরসভার মেয়র প্রার্থী নাজমুল আহসানের বাসার সামনে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রভাষক ধীরাজ কুমার বিশ্বাসকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে।
জানা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান মেয়র মতিয়ার রহমানকে সমর্থন দিচ্ছেন ধীরাজ কুমার। এ থেকে বিরত থাকতে গালাগাল করেন নুর গাজী নয়নসহ অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ৯ জন। এতে ধীরাজ কুমার প্রতিবাদ করলে তাকে চারদিক থেকে ঘিরে নুর গাজী নয়নসহ অন্যরা মারধর করেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ধীরাজ কুমার বিশ্বাসকে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমতলী থানায় মামলা দায়ের করা হলে নুর গাজী নয়নকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে আমতলী থানা পুলিশ।
মন্তব্য করুন