লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্কুলছাত্রকে নির্যাতনের পর ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়ার ঘটনায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। এতে চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন ও সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী হুমায়ুন কবির।
এর আগে সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল কমলনগর আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ আদেশ দেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা আহসানুল্লাহ বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১ জুন সকালে চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ইয়াছিন আরাফাত সজলকে অফিসরুমে ডেকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রের অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলনের ভাতিজার জন্য ওই ছাত্রের বোনের বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সজলকে মারধর করে জোরপূর্বক বিদ্যালয় ত্যাগের ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী স্বজন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ে যায় সজল। পরে স্কুলের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম তাকে প্রধান শিক্ষক দোলনের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় স্কুলে অনুপস্থিতির কথা জানতে চাইলে চুপ থাকে সজল। একপর্যায়ে তাকে (সজল) বেধড়ক মারধর করেন সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম ও প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন। এতে সজল গালে, মাথায় ও পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হয়। পরে তাকে টিসির কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন বলেন, সজল বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করেছে।
বাদীর আইনজীবী হুমায়ুন কবির বলেন, ভুক্তভোগী বিচার না পাওয়ায় আদালতে মামলা করেছে। আদালত তার মামলাটি আমলে নিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ওয়ারেন্টের কপি এখনো থানায় পৌঁছায়নি। মামলার বিষয়টা শুনেছি।
মন্তব্য করুন