ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। এ সময় একটি পেট্রোল পাম্পে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের তারাইল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারাইল গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মাঝে বহুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা পেট্রোল পাম্পের মালিক সুমন মাতুব্বর। অন্য গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন একই গ্রামের ফারুক তালুকদার। এই দুপক্ষের সঙ্গে আগেও কয়েক দফা হামলা, মামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে।
সেই ধারাবাহিকতায় সকালে ঈশ্বরদী গ্রামের আতাহার চৌধুরীর স্ত্রী মৃত্যুবরণ করলে সেখানে সুমনের লোকজন জানাজার জন্য উপস্থিত হয়। সেখানে ফারুক তালুকদার গ্রুপের ওমর তালুকদার, জুয়েল শিকদার ও শুকুর হাওলাদাররা রাজিবকে একা পেয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।
এ ঘটনায় খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপ দেশি অস্ত্রশস্ত্রে সংঘবদ্ধ হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় ঢাকা-ভাঙ্গা-খুলনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের তারাইল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় সুমন মাতুব্বরের হাজী ইরফান উদ্দিন পেট্রোল পাম্পে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় প্রতিপক্ষ। তখন উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। আহতদের বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন আল রশিদ জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মৃত বাড়িতে গেলে রাজীব মাতুব্বর নামের এক যুবককে মারধর করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পাম্পে ভাঙচুর চালানো হয়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
মন্তব্য করুন