লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২৮ এএম
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শিশুকে হত্যায় সৎমায়ের স্বীকারোক্তি

নিহত রোজার সৎমা জোবায়দা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি : কালবেলা
নিহত রোজার সৎমা জোবায়দা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি : কালবেলা

নড়াইলের লোহাগড়ায় তিন বছরের কন্যাশিশু নুসরাত জাহান রোজার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত সৎমা জোবায়দা বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ স্বীকারোক্তি দেন।

নড়াইল জেলা আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক হেলাল উদ্দিনের কাছে জোবায়দা শিশু নুসরাতকে মুখ চেপে ধরে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে রোজার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত নুসরাত নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গিলাতলা গ্রামের সজীব কাজীর কন্যা।

আসামির স্বীকারোক্তি মোতাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী জানান, মঙ্গলবার সকালে নুসরাতকে তার বড় ভাই ইয়াসিন মারধর করলে সে কান্না করে। নুসরাতের কান্না থামাতে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। তবুও শিশুটি কান্না করতে থাকলে একপর্যায়ে তার সৎদমা জোবায়দা বেগম নুসরাতের মুখ চেপে ধরেন। এতে নুসরাত শ্বাসরোধে মারা যায়।

সৎমা জোবায়দা বেগম স্বীকারোক্তিতে আরও বলেন, নুসরাতের হত্যা কোনো পরিকল্পিত ছিল না। প্রচুর কান্না করছিল এ জন্য মুখ চেপে ধরে কান্না থামানোই ছিল তার মূল উদ্দেশ্যে। নুসরাতের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে সেটি বুঝতে পেরে জোবায়দা তাকে কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে তার শ্বশুর মো. খায়ের কাজীর বসতঘরের বারান্দার খাটে শুইয়ে রাখে।

পরে দাদা মো. খায়ের কাজী বাইরে থেকে বাড়িতে এসে নুসরাতকে গোসল করানোর জন্য ডাকাডাকি করে। দাদি পান্না বেগম নুসরাতকে না পেয়ে সৎমা জোবায়দা বেগমকে জিজ্ঞাসা করে নুসরাত কোথায়, তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। তখন জোবায়দা বেগম শাশুড়িকে বলেন, নুসরাত তার দাদার বারান্দায় ঘুমাচ্ছে। তখন দাদি পান্না বেগম বারান্দায় গিয়ে নুসরাতকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

এ সময় পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। প্রথমে লোহাগড়া থানায় নিয়ে পরবর্তীতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

ঘটনার দিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নুসরাতের বাবা সজীব কাজী ও সৎমা জোবায়দা বেগমকে আটক করে লোহাগড়া থানা পুলিশ। তবে নুসরাতের বাবা সজীব কাজীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত রোজার দাদা মো. খায়ের কাজী সৎমা জোবায়দা বেগমকে একমাত্র আসামি করে লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, আদালতে স্বীকারোক্তির পর দোষী জোবায়দা বেগমকে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজায় হামাসের বন্দুকধারীদের টহল

আগামীর রাষ্ট্রকাঠামোর পূর্ণ রূপরেখা ৩১ দফাতেই রয়েছে : কফিল উদ্দিন 

পরিবেশ রক্ষায় ৮০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে : টুকু 

ক্ষমতায় এলে ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান গড়বে বিএনপি : আমিনুল হক

মিসরে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন ট্রাম্প

নেইমারের জন্য এখনও দরজা খোলা রেখেছেন আনচেলত্তি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ ও প্রফেশনাল কোর্সের সব পরীক্ষা স্থগিত

ইতিহাস গড়ে ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট পেল কেপ ভার্দে

পলিথিনে মোড়ানো শপিং ব্যাগে মিলল নবজাতকের মরদেহ

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

১০

কলাবাগানে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

১১

অবশেষে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

১২

জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ

১৩

শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

১৪

‘ড. তোফায়েলের শূন্যতা বহু দশক অনুভূত হবে’

১৫

আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার মরদেহ উদ্ধার

১৬

স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

১৭

পূজা পরিষদ ও মহানগর কমিটির প্রত্যাশা / সংকট সমাধানে এক হয়ে কাজ করার নজির অব্যাহত থাকুক

১৮

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : পিএনপি

১৯

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রোটিয়াদের কাছে বাংলাদেশের হার

২০
X