ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মাদ্রাসাছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১ মার্চ) রাত ১১টার দিকে কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নিলয় মোল্লা উপজেলার টোনা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ও টোনা গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য সুলতান আহমেদ মোল্লার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাতে জানা যায়, নিলয় মোল্লা ও তামিম খানসহ এলাকার কয়েক ব্যক্তি উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামে ওয়াজ মাহফিলে ওয়াজ শুনতে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল নিলয়কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিলয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তামিম খান জানান, গত ১২ থেকে ১৫ দিন আগে টোনা গ্রামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ব্রাহ্মণ পাটনা গ্রামের কামরুল খানের ছেলে শাকিল খান উত্ত্যক্ত করে। এ সময় নিলয় প্রতিবাদ জানিয়ে ইভটিজিংকারী ব্যক্তি শাকিল খানকে দুটি চড় দেন। পরে স্থানীয়রা ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন।
এই ঘটনা জেরে মাহফিল থেকে ফেরার পথে শাকিল খাঁন আমাকে ও নিলয়কে ডেকে নিয়ে রামদা, সামুরা, সেভেন গিয়ার অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ সময় আমরা বাঁচার জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করলে ওয়াজ মাহফিলে থাকা লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে।
উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজ্জাক খন্দকার বলেন, মাহফিল থেকে ফেরার পথে জানতে পারি ব্রাহ্মণপাটনা গ্রামের কামরুল খানের ছেলে শাকিল খানসহ কয়েকজন দুটি ছেলেকে কুপিয়ে পালিয়েছে। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তার নিলয়কে মৃত ঘোষণা করে।
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দুজনের মধ্যে নিলয় নামে এক ব্যক্তিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তামিম নামে এক ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নড়াগাতি থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান জানান, নিলয় মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনা জানতে পেরেছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন