হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে এক তরুণীকে লঞ্চে তুলে যুবক উধাও হয়েছেন। ভয়ে ওই তরুণী জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার কাকাইলছেও নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।
ওই তরুণীর নাম রুম্পা রানী শীল (২১)। তিনি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার পটিয়া শীলপাড়া এলাকার মৃত সজল শীলের মেয়ে। ফেনীর মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা পিটন দাসের স্ত্রী তিনি।
পুলিশ জানায়, রুম্পা শীলকে বিয়ের প্রলোভন দেখান পূর্ব পরিচিত আলাউদ্দিন (৪০) নামে এক ব্যক্তি। এ প্রলোভনে মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব লঞ্চ ঘাটে তরুণীকে আলাউদ্দিন নিয়ে আসেন। পরে তাকে আল হেলাল নামক একটি লঞ্চে তোলা হয়। সেখানে তাকে তোলার পর ওই ব্যক্তি মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার কথা বলে সেখান থেকে চলে যান। পরে তিনি আর ফিরে আসেননি।
একপর্যায়ে লঞ্চটি ছেড়ে দিলে আলাউদ্দিনকে না পেয়ে ওই তরুণী ৯৯৯- এ ফোন দেন। বিষয়টি আজমিরীগঞ্জ নৌপুলিশ ফাঁড়িকে অবগত করা হলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে উদ্ধার করা হয়।
তবে তরুণীর স্বামী পিটন দাসের দাবি, আলাউদ্দিন তার শাশুড়ির বাসায় এক সময় ভাড়া থাকতেন। চট্টগ্রামে ভাঙ্গারীর ব্যবসা করেন তিনি। মঙ্গলবার চায়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে রুম্পাকে পান করান আলাউদ্দিন। তারপর রুম্পাকে গাড়িতে তুলে ভৈরব নিয়ে আসেন।
কাকাইলছেও নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, তরুণীকে উদ্ধার করে আজমিরীগঞ্জ থানায় পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম ফারুক বলেন, খবর পেয়ে স্বামী পিটন আজমিরীগঞ্জ থানায় এসেছেন। যাচাইবাচাইয়ের পর স্বামীর জিম্মায় তাকে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন