ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে প্রভাবশালী দুই প্রার্থীকে হারিয়ে মো. বিল্লাল মিয়া (ঘোড়া প্রতীক) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে ভোট গণনা শেষে এই ফল ঘোষণা করে জেলা নির্বাচন অফিস।
ফল অনুযায়ী মো. বিল্লাল মিয়া পেয়েছেন ৭৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও দুইবারের পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন ৪৯০ ভোট। এ ছাড়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. শফিকুল আলম পেয়েছেন ১৩৩ ভোট।
বিজয়ী মো. বিল্লাল মিয়ার রাজনৈতিক কোনো পদ-পদবি নেই। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। হেভিওয়েট প্রার্থীদের হারিয়ে তিনি চমক দেখালেন।
তিনি ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে আশুগঞ্জ উপজেলা থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। উপনির্বাচনে তিনি সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়া না হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনকে ‘সমর্থন’ দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে ইভিএম পদ্ধতিতে জেলার ৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোট শুরু হয়। দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এতে জেলার ৯টি উপজেলা, পাঁচটি পৌরসভা ও ১০০টি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
জেলায় মোট ভোটার ১৩৮৪ জন জনপ্রতিনিধি। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৩৬৬ জন।
নাসিরনগর উপজেলায় ১৬৫ জন, সরাইল উপজেলায় ১১৯ জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১০৪ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১৬১ জন, বিজয়নগর উপজেলায় ১২৯ জন, কসবা উপজেলায় ১৪৫ জন, আখাউড়া উপজেলায় ৮০ জন, নবীনগর উপজেলায় ২৮০ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৮৩ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন।
২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু তিনি দায়িত্বভার গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর মারা যান। এতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।
মন্তব্য করুন