কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ১২ কিমি এলাকাজুড়ে আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়েছে প্রায় চার হাজার বিঘার পানবরজ। প্রায় সাত ঘণ্টা আগুন নিয়ন্ত্রণহীন ছিল।
রোববার (১০ মার্চ) বেলা ১১টায় আগুনের সূত্রপাত। প্রথমে ভেড়ামারার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা গ্রামের জিআরপি ক্যাম্পের নিচে মিলন আলির পানের বরজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পরে ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে কুষ্টিয়া সদর থানা, মিরপুর উপজেলা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদী উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট এসে ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আগুনে প্রায় ১২ কিলোমিটার পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রথম অবস্থায় আগুন কোনোমতেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। গ্রামের মানুষ অসহায় হয়ে চারদিকে ছোটাছুটি করতে থাকে। বেশ কয়েকটি বাড়িতেও আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আশপাশের অঞ্চল থেকে লেপ, কাঁথা, কম্বল, খাদ্যশস্য গবাদিপশু সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রায়টা, আরকান্দি, মাধবপুর, গোসাইপাড়া, মালিপাড়া ও মেঘনাপাড়ার ছয়টি গ্রাম আগুনে আক্রান্ত হয়েছে। আগুনের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয় পান ব্যবসায়ী গোঁসাইপাড়ার সাহেব বলেন, তিনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কৃষকদের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকার পানবরজ কিনেছিলেন। এসবের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে গেছে।
চুয়াডাঙ্গার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক রফিকুজ্জামান বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট এখানে কাজ করি। এলাকাবাসী সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, আগুনে প্রায় ৪ হাজার বিঘার পানবরজ পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমরা নিরূপণ করতে পারিনি।’
স্থানীয় এমপি কামারুল আরেফিন কালবেলাকে বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটির ওপর। এটা এই অঞ্চলের কৃষকদের জন্য এক মহাবিপর্যয়। সরকার অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে।’
মন্তব্য করুন