দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কয়লা বোঝাই জাহাজ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মি করা হয় ২৩ নাবিককে। এরমধ্যে আছেন নাটোরের জয় মাহমুদ। অর্ডিনারি সিম্যান হিসেবে কাজ করেন তিনি।
জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর জয় তার চাচাত ভাই মারুফকে ক্ষুদে বার্তা পাঠান। ক্ষুদে বার্তায় জয় মাহমুদ লেখেন, ‘মোবাইল দিয়া দিলাম ভাই। ভালো থেকো, দোয়া কইরো। কাউকে বইল না, আব্বু-আম্মুকে সান্ত্বনা দিও।’
বুধবার (১৩ মার্চ) নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের সালাইনগর গ্রামে জয় মাহমুদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন জয় মাহমুদের স্বজন ও এলাকাবাসী।
জয় মাহমুদের মা আরিফা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, গতকাল বিকেল ৪টায় শেষ কথা হয় জয়ের সঙ্গে। জয় আমাকে বলে মা আগামী ৩-৪ মাস আমার সঙ্গে আর কথা হবে না।
জয়ের চাচাত ভাই মারুফ হোসন বলেন, বাড়িতে অন্য কারো স্মার্ট ফোন না থাকায় আমার ফোন দিয়েই সব সময় ভাই কথা বলত। কাল হঠাৎ আমাকে বলে তার সঙ্গে নাকি আর কথা হবে না। কেন হবে না জিজ্ঞেস করলে বলে যে, আমাদের জাহাজ জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে। তারা আমাদের জিম্মি করে রাখবে, তাই।
মন্তব্য করুন