শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পানির অভাবে ২ হাজার হেক্টর ধানক্ষেত নষ্টের শঙ্কা

খালে পানি না থাকায় ইছাপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ধানক্ষেত শুকিয়ে গেছে। ছবি : কালবেলা
খালে পানি না থাকায় ইছাপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ধানক্ষেত শুকিয়ে গেছে। ছবি : কালবেলা

লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের ইছাপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প থেকে এন-থ্রি খাল এবং বিএডিসির খালে পানি না আসায় প্রায় দুই হাজার হেক্টর ধানক্ষেত নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পানির অভাবে অধিকাংশ মাঠ ফেটে গেছে। ফলে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা। পানি না থাকায় চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নয়নপুর, চন্ডিপুর, নারায়ণপুর, নুনিয়াপাড়া, শ্যামদানপুর গ্রামের অধিকাংশ আবাদি জমি শুকিয়ে গেছে। ধানক্ষেতে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও ধানগাছ পানির অভাবে হলুদ রং ধারণ করেছে। জমির পাশে মূল খালেও পানি নেই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সবুজ বলেন, ‘আমার নিজস্ব জমি রয়েছে এক একর। সব জমিতে আবাদ করেছি। কিন্তু পানির অভাবে ধান গাছের চারার রং হলুদ হয়ে যাচ্ছে। খাল সংস্কার ও খনন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।’

শ্যামদানপুর গ্রামের কৃষক এরশাদ মিয়া বলেন, ‘জমি ও বীজতলা তৈরি, বীজ কেনা, চারা রোপণ, সার ও কীটনাশক বাবদ এ পর্যন্ত কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পানির অভাবে চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’

কৃষক আবদুল হান্নান বলেন, ‘ধান রোপণের শুরুতে পানি পেয়ে আশায় বুক বেঁধেছি। কিন্তু ধানের চারা সবুজ হওয়ার কিছুদিন পরেই আমাদের আশা ফিকে হতে থাকে। খালে পানি না থাকায় জমিতে সেচ দেওয়া যাচ্ছে না।’

নয়নপুর এলাকার বিএডিসির প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. সবুজ বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমাদের এলাকার খাল খনন না করা এবং সংযোগ খালগুলো মূল খাল থেকে উঁচু হওয়ার কারণে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের পানি এদিকে আসতে পারে না।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রায়হানুল হায়দার বলেন, ‘আমি সভায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন অল্প কিছুদিনের মধ্যে পানির ব্যবস্থা করা হবে।’

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান বলেন, ‘সেচ প্রকল্পটিতে যে পাম্প আছে এটির সক্ষমতা রয়েছে মাত্র ৩০ ভাগ। ৪৫ বছর আগের পুরাতন পাম্পটি কয়েকদিন পর পর অকেজো হয়। খালটি দ্রুত খনন বা সংস্কার করা জরুরি। রামগঞ্জ অঞ্চল থেকে পাম্পের এলাকা কিছুটা নিচু হওয়ার কারণে পানি ঠিকমতো প্রবাহিত হয় না। ফলে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।’

চাঁদপুর পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন খাল খনন না করা এবং পানির লেয়ার বার বার নেমে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। খাল খননের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ অবগত। আশা করি অচিরেই সমাধান হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাসিনাকে কেন ফেরত পাঠানো নিয়ে মোদিকে ওয়েইসির প্রশ্ন

জাকসুতে প্যানেল দ্বন্দ্ব, পদত্যাগ করে বাগছাস নেতার মিষ্টি বিতরণ

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যাত্রীসেবা আন্তর্জাতিক মানের করতে চাই : বেবিচক চেয়ারম্যান

‘আ. লীগ বিদ্যুৎ খাতে চুরির লাইসেন্স দিয়েছিল’

আ.লীগ নেত্রী রুনু গ্রেপ্তার

ইসির ইউটিউব চ্যানেল চালু, মিলবে যেসব তথ্য

শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, গ্রেপ্তারের দাবি শিক্ষার্থী

চার বিভাগে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি, পাহাড়ধসের আশঙ্কা

ভোলায় পাঁচ দিন ২০ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

থানা ব্যারাকে নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণ, তিনজন ক্লোজড

১০

পিআর পদ্ধতিতে সব ভোটারের মূল্যায়ন হয় : চরমোনাই পীর

১১

তিস্তায় কার্টুন বক্সে ভাসছিল নবজাতকের মরদেহ

১২

দেশের উন্নয়নে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে : চসিক মেয়র

১৩

কৃষক দল সম্পাদক বাবুলের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল

১৪

চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সতর্কবার্তা / ‘সাংবাদিকরা চুপ থাকলে সমাজ অন্ধকারে ডুবে যাবে’

১৫

যেসব অনিয়মে বাতিল হবে এজেন্সির নিবন্ধন

১৬

অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে সিলেট জেলা পুলিশ অঙ্গীকারবদ্ধ : পুলিশ সুপার

১৭

বগুড়ায় সাহিত্য উৎসব শুক্রবার, অংশ নিবে দুই শতাধিক কবি

১৮

বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি রোধে নতুন নির্দেশনা

১৯

জুলাই শহীদদের স্মরণে জবিতে গ্রিন ভয়েসের বৃক্ষরোপণ ও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

২০
X