রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পানির অভাবে ২ হাজার হেক্টর ধানক্ষেত নষ্টের শঙ্কা

খালে পানি না থাকায় ইছাপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ধানক্ষেত শুকিয়ে গেছে। ছবি : কালবেলা
খালে পানি না থাকায় ইছাপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ধানক্ষেত শুকিয়ে গেছে। ছবি : কালবেলা

লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের ইছাপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প থেকে এন-থ্রি খাল এবং বিএডিসির খালে পানি না আসায় প্রায় দুই হাজার হেক্টর ধানক্ষেত নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পানির অভাবে অধিকাংশ মাঠ ফেটে গেছে। ফলে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা। পানি না থাকায় চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নয়নপুর, চন্ডিপুর, নারায়ণপুর, নুনিয়াপাড়া, শ্যামদানপুর গ্রামের অধিকাংশ আবাদি জমি শুকিয়ে গেছে। ধানক্ষেতে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও ধানগাছ পানির অভাবে হলুদ রং ধারণ করেছে। জমির পাশে মূল খালেও পানি নেই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সবুজ বলেন, ‘আমার নিজস্ব জমি রয়েছে এক একর। সব জমিতে আবাদ করেছি। কিন্তু পানির অভাবে ধান গাছের চারার রং হলুদ হয়ে যাচ্ছে। খাল সংস্কার ও খনন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।’

শ্যামদানপুর গ্রামের কৃষক এরশাদ মিয়া বলেন, ‘জমি ও বীজতলা তৈরি, বীজ কেনা, চারা রোপণ, সার ও কীটনাশক বাবদ এ পর্যন্ত কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পানির অভাবে চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’

কৃষক আবদুল হান্নান বলেন, ‘ধান রোপণের শুরুতে পানি পেয়ে আশায় বুক বেঁধেছি। কিন্তু ধানের চারা সবুজ হওয়ার কিছুদিন পরেই আমাদের আশা ফিকে হতে থাকে। খালে পানি না থাকায় জমিতে সেচ দেওয়া যাচ্ছে না।’

নয়নপুর এলাকার বিএডিসির প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. সবুজ বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমাদের এলাকার খাল খনন না করা এবং সংযোগ খালগুলো মূল খাল থেকে উঁচু হওয়ার কারণে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের পানি এদিকে আসতে পারে না।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রায়হানুল হায়দার বলেন, ‘আমি সভায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন অল্প কিছুদিনের মধ্যে পানির ব্যবস্থা করা হবে।’

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান বলেন, ‘সেচ প্রকল্পটিতে যে পাম্প আছে এটির সক্ষমতা রয়েছে মাত্র ৩০ ভাগ। ৪৫ বছর আগের পুরাতন পাম্পটি কয়েকদিন পর পর অকেজো হয়। খালটি দ্রুত খনন বা সংস্কার করা জরুরি। রামগঞ্জ অঞ্চল থেকে পাম্পের এলাকা কিছুটা নিচু হওয়ার কারণে পানি ঠিকমতো প্রবাহিত হয় না। ফলে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।’

চাঁদপুর পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন খাল খনন না করা এবং পানির লেয়ার বার বার নেমে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। খাল খননের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ অবগত। আশা করি অচিরেই সমাধান হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

শুটিংয়ের প্রলোভনে মডেলকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, অতঃপর...

কেয়ামতের দিন যে ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্বয়ং মহান আল্লাহ বাদী হবেন

বাম চোখ লাফালে কী হয়? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ আলেম

২৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

লবণ নাকি চিনি, কোনটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে?

হল ত্যাগের নির্দেশ, ঢাবিশিক্ষার্থীদের প্রতি তাসনিম জুমার যে অনুরোধ

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান ইডেন শিক্ষার্থীদের

৭ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় সংঘর্ষ, আহত অনেক

১০

ক্যাম্প ন্যুতে বার্সার রাজকীয় প্রত্যাবর্তন

১১

জনগণকে নিয়ে এলাকার কল্যাণে কাজ করব : রবিন 

১২

দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে ৭৬ ক্লাবকে নিয়ে কোয়াবের চা-চক্রের আয়োজন

১৩

ভূমিকম্প আতঙ্কে ঢাবি ভিসির বাসভবনের সামনে শুয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা

১৪

এবার নিজেদের মাঠে নাস্তানাবুদ লিভারপুল

১৫

ভূমিকম্পে নিহতদের সম্পর্কে যা বলেছেন নবীজি (সা.)

১৬

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোরআন বিতরণ 

১৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ দিন বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ

১৮

সিমেন্ট কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ, ৬ শ্রমিক দগ্ধ

১৯

বাংলাদেশ সমাজকর্ম শিক্ষক সমিতির আত্মপ্রকাশ 

২০
X