ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেড্ডা বাজারে একটি মাংস দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। ছবি : কালবেলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেড্ডা বাজারে একটি মাংস দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। ছবি : কালবেলা

সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা। প্রতিবাদে সকল মাংসের দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। দাম পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত বিক্রি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন মাংস ক্রেতারা।

সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল থেকে শহরের আনন্দবাজার, ফারুকি বাজার, মেড্ডা বাজারসহ জেলা শহরের অন্তত অর্ধশতাধিক দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রাখা হয়।

সরেজমিনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে সরকারের পক্ষ থেকে গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ, খামার বা ব্যাপারিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস চামড়াসহ ৭২০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে।

খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি বিক্রয় করে ৭৫০ টাকা। কম দামে মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয় তাই ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে জেলা শহরের বাজারগুলোতে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।

মাংস ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা জনগণের চাহিদা ও ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করেই মাংস বিক্রি করে থাকি। সরকার আমাদের যে বাজার দর দিয়েছে এ দামে মাংস বিক্রি করলে লোকসান হবে। তাই আমরা গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমাদের মাংস বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

আরেক মাংস ব্যবসায়ী শাহিন মিয়া বলেন, আমরা লোকসানে ব্যবসা করতে পারব না। সরকার গরুর মাংসের যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, সে দরে মাংস বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হবে। লোকসান দিয়ে তো আর ব্যবসা সম্ভব না। তাই সকাল থেকে আমরা মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা খামারি এবং ব্যাপারি থেকে গরু সংগ্রহ করে থাকে। তারা চামড়াসহ আস্ত গরু ক্রয় করে বাজারে জবাই করে থাকেন। এতে ৭২০ টাকা প্রতি কেজিতে দাম পড়ে। সরকার ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা নির্ধারণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাজারের ক্ষেত্রে এ দাম প্রযোজ্য হবে না। অবশ্যই দাম সমন্বয় করতে হবে। দাম পুনরায় নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় এই মাংসের বাজার বন্ধ রাখা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।

ফারুকী বাজারে আসা ক্রেতা মো. রবিউল্লা বলেন, সকালে গরুর মাংস কিনতে এসে দেখি দোকান বন্ধ। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গরুর মাংস কিনতে না পেরে ফার্মের মুরগি নিয়ে বাসায় যাচ্ছি। রমজান মাসে এমনটা প্রত্যাশা করিনি। আশা করি ব্যবসায়ীরা দ্রুত তাদের সমস্যার সমাধান করে দোকান চালু করবে।

ফারুকী বাজারে লিফলেট বিতরণকালে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মচারী মো. পলাশ মন্ডল বলেন, মহাপরিচালকের কার্যালয়ের নির্দেশনায় বাজারে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এর বেশি আমার জানা নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেয়ামতের দিন যে ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্বয়ং মহান আল্লাহ বাদী হবেন

বাম চোখ লাফালে কী হয়? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ আলেম

২৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

লবণ নাকি চিনি, কোনটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে?

হল ত্যাগের নির্দেশ, ঢাবিশিক্ষার্থীদের প্রতি তাসনিম জুমার যে অনুরোধ

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান ইডেন শিক্ষার্থীদের

৭ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় সংঘর্ষ, আহত অনেক

ক্যাম্প ন্যুতে বার্সার রাজকীয় প্রত্যাবর্তন

জনগণকে নিয়ে এলাকার কল্যাণে কাজ করব : রবিন 

১০

দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে ৭৬ ক্লাবকে নিয়ে কোয়াবের চা-চক্রের আয়োজন

১১

ভূমিকম্প আতঙ্কে ঢাবি ভিসির বাসভবনের সামনে শুয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা

১২

এবার নিজেদের মাঠে নাস্তানাবুদ লিভারপুল

১৩

ভূমিকম্পে নিহতদের সম্পর্কে যা বলেছেন নবীজি (সা.)

১৪

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কোরআন বিতরণ 

১৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ দিন বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ

১৬

সিমেন্ট কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ, ৬ শ্রমিক দগ্ধ

১৭

বাংলাদেশ সমাজকর্ম শিক্ষক সমিতির আত্মপ্রকাশ 

১৮

জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও ইউনিভার্সেল মেডিকেলের স্বাস্থ্য চুক্তি

১৯

ভূমিকম্পে নিহত রাফিকে শেষ দেখা দেখলেন মুর্মূষু মা

২০
X