নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তালগাছের দীর্ঘতম ঘুঘুডাঙ্গা, খরা ও বজ্রপাতে প্রাকৃতিক ঢাল

নওগাঁর নিয়ামতপুরের ঘুঘুডাঙ্গার দীর্ঘতম ও দৃষ্টিনন্দন তালসড়ক। ছবি : কালবেলা
নওগাঁর নিয়ামতপুরের ঘুঘুডাঙ্গার দীর্ঘতম ও দৃষ্টিনন্দন তালসড়ক। ছবি : কালবেলা

চৈত্র ও বৈশাখ মাসে রুক্ষ হয়ে ওঠে বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রকৃতি। এরই মধ্যে প্রশান্তি ও শোভাবর্ধন করছে পথের দু’ধারের সারিবদ্ধ তালগাছ। খরা ও বজ্রপাতে প্রকৃতিকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে এভাবেই লাগানো হয়েছে তালগাছ। স্থানীয় এমন একটি সড়ক তালসড়ক নামেই পরিচিতি পেয়েছে।

আশির দশকে তালপাখার বাতাস না হলে মন জুড়াত না। বর্তমানে এসবের ব্যবহার খুবই কমেছে। কিন্তু আজও তালের পিঠা, গুড়ের পায়েস কিংবা তালের রুটি না খেলে বাঙালির মন জুড়ায় না।

আর বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে তালগাছের তো কোনো বিকল্পই নেই। তাই বিভিন্ন সড়ক, বাড়ি ও জমির ধারে লাগানো হয়েছে তালগাছ।

সবুজ মাঠের বুক চিরে নিয়ামতপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে হাজিনগর ইউনিয়নের অবস্থিত ছোট্ট একটি গ্রাম ঘুঘুডাঙ্গা। মজুমদার মোড় থেকে ঘুঘুডাঙ্গা গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার দুই ধারে প্রায় ৬শ টি তালগাছ দাঁড়িয়ে আছে। বৃক্ষপ্রেমী ও ভ্রমণ পিয়াসীরা বেড়াতে আসেন এ তালসড়কে।

স্থানীয় সূত্রে ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) সূত্রে জানা যায়, বরেন্দ্র অঞ্চলে তালগাছসহ অন্যান্য বড় বড় গাছ হারিয়ে যাওয়ায় বজ্রপাত বেড়ে গিয়েছে। বজ্রপাত বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা মাঠে-খাটে কাজ করতে গিয়ে মারাও যাচ্ছেন।

উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের ফারুক বলেন, গত কয়েক বছর থেকে এ সড়কটি তালতলি হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ প্রতিদিনই দেখতে আসছে। তালতলিতে স্থায়ীভাবে কয়েকটি দোকান হওয়ায় বেশ কয়েকজনের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে।

বৃক্ষপ্রেমী মোস্তাকিন বলেন, ফেসবুক ও ইন্টারনেটে এ জায়গাটির কথা শুনেছি। তবে কখনো আসা হয়নি। জায়গাটি অনেক সুন্দর।

হাজিনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তালগাছের ছায়ায় এক অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করি। সড়কের দুই পাশে দেখা মিলবে সবুজের ফসলের ক্ষেত। এটি একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে অন্যদিকে এ জায়গাটি পর্যটকদের কাছে এখন বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ বলেন, গ্রামে এখন তেমন তালগাছ দেখা যায় না। এখানে একসঙ্গে অসংখ্য তালগাছ এবং নির্মল পরিবেশ দেখে সত্যি মুগ্ধ হই। তালগাছ শুধু সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য নয়, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মেন্টরস স্টাডি এব্রোডের আয়োজনে স্টাডি ইন অস্ট্রেলিয়া এক্সপো

ঝর্ণায় পিছলে খাদে ৬ নারী, অতঃপর...

ঢাবির রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল হলে নবীনদের বরণ করল ছাত্রদল

সাংবাদিকদের ইতিবাচক লেখনির মাধ্যমেই পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে : ডিবিএ প্রেসিডেন্ট

পিআর ইস্যু নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকারীরা দেশের আদর্শে বিশ্বাসী নয় : মঈন খান

যুদ্ধবিমানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি ভারতীয় সেনা কর্মকর্তার

রোমান্সে ভাসছেন হ্যারি স্টাইলস

লাম্পি স্কিনে শতাধিক গরুর মৃত্যু

চীন সফরে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে : মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের নতুন ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম

১০

নিখোঁজের ৭ দিন পর অন্তঃসত্ত্বার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

১১

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের দুঃসংবাদ

১২

সার্কের বিকল্প নতুন জোট আনছে চীন-পাকিস্তান, আছে বাংলাদেশও

১৩

মাসব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি জাগপার

১৪

হাতিরঝিলে শিশু ধর্ষণচেষ্টায় আসামির ১০ বছর কারাদণ্ড 

১৫

শেফালীর মৃত্যুর পেছনে নতুন সূত্র, চমকে গেল পুলিশ

১৬

অঙ্কুরিত আলু, পেঁয়াজ ও রসুন খাওয়া কি নিরাপদ?

১৭

ঢাকায় আছেন সিইসি, অফিস করবেন মঙ্গলবার

১৮

চুরির অপবাদে কারখানায় শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা

১৯

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আপ বাংলাদেশের ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি 

২০
X