বরিশালে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যায় স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ১৬ মার্চ সকালে হিজলা উপজেলার পালপাড়া গ্রামের মেঘনা নদীর তীরে সয়াবিন ক্ষেত থেকে জামাল মাঝির লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে হিজলা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপংকর রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলায় হিজলা উপজেলার ধূলখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামালউদ্দিন ঢালীসহ নামধারী ৪৯ জন ও অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী আখিনুর বেগম ধূলখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নিহত জামাল মাঝির স্ত্রী। মামলার বরাতে পরিদর্শক (তদন্ত) দীপংকর রায় জানান, আখিনুর বেগমের স্বামী জামাল মাঝি ধূলখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তার স্বামী জামাল মাঝি স্থানীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ অনুসারী। আসামিরা ভিন্ন অনুসারী হওয়ায় তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জামাল মাঝির বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে কিছুদিন আগে জামাল মাঝির ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও সবাইকে মারধর করে। এ ঘটনায় মামলা করে জামাল মাঝি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জামাল মাঝিকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৫ মার্চ রাতে মেঘনা নদীর তীরে মাছঘাটে ছিলেন জামাল মাঝি। সকালে বাড়ির ফেরার সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। তারা এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জামাল মাঝিকে হত্যা করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
হিজলা থানার ওসি জুবাইর আহমেদ জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তিনি মামলার নামধারী আসামি নয়। তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
হিজলা থানার নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই মো. মামুন জানান, আসামিকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তিনি তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
মন্তব্য করুন