৬৪ বছরের বৃদ্ধ আব্দুর রাজ্জাক ব্যাপারী, নেই কোনো কারিগরি বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। তবে ছোটবেলা থেকেই কিছু না কিছু আবিষ্কার তার প্রবল ঝোঁক। যন্ত্রাংশ কিনে রেডিও, বাইসাইকেলে মটর বসিয়ে প্যাডেলবিহীন সাইকেল। সর্বশেষ বাইসাইকেলকে মোটরসাইকেলে রূপান্তর করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সুন্দরদী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক সংলগ্ন গৌরনদীর টরকী বাসস্ট্যান্ডে দীর্ঘ বছর ধরে নিজ দোকানে ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করে আসছেন আব্দুর রাজ্জাক ব্যাপারী।
২০১৯ সালে তিন হাজার টাকায় একটি পুরাতন বাইসাইকেল কেনেন আব্দুর রাজ্জাক। প্রথমে ওই বাইসাইকেলটিতে ব্যাটারি বসিয়ে প্যাডেলবিহীন সাইকেল তৈরি করে চালিয়েছেন দীর্ঘদিন। সম্প্রতি ওই সাইকেলটিতে প্রায় ১৯ হাজার টাকার যন্ত্রাংশ বসিয়ে আবিষ্কার করে ফেলেন পুরাদস্তর মোটরসাইকেল। এখন ওই বাইক দিয়ে ছুটে চলেন এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।
নামিদামি ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের মতো তার আবিষ্কৃত মোটরসাইকেলও চলে পেট্রল ও অকটেনে। এক লিটার পেট্রল বা অকটেন দিয়ে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারেন দুজন আরোহী নিয়ে। ট্যাংকি ছোট হওয়ায় একবারে দুই লিটার পর্যন্ত ফুয়েল ভরা যায়। চলতি পথে তেল শেষ হয়ে গেলে মোটরসাইকেলকে আবার বাইসাইকেল হিসেবে ব্যবহার করে প্যাডেল মেরে যাওয়া যায় গন্তব্যে। বৃদ্ধ আব্দুর রাজ্জাক ব্যাপারীর তাক লাগানো আবিষ্কারে মুগ্ধ স্থানীয়রা। বৃদ্ধ আব্দুর রাজ্জাককে পৃষ্ঠপোষকতা করলে কম দামে এমন মোটরসাইকেল বাজারজাত করতে পারবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন