কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯ বগি লাইনচ্যুত হওয়ার চার দিন পর বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে চট্টগ্রামের সঙ্গে দুলাইনে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
অপরদিকে বুধবার রাতে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি উদ্ধার কাজে নিয়োজিত একটি উদ্ধারকারী ট্রেনের ইঞ্জিন নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলস্টেশন এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। ভোরে আরেকটি উদ্ধারকারী ট্রেন এসে ওই ইঞ্জিনটি উদ্ধার করে।
হাসানপুর রেলস্টেশন মাস্টার মঙ্গীমার্রা বলেন, ট্রেন সাংডিং দেওয়ার সময় ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়েছে। পরে আরেকটি ইঞ্জিন এসে লাইনচ্যুত ইঞ্জিনটি উদ্ধার করে।
এর আগে, বোরবার দুপুর ২টার দিকে চট্টগাম থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলস্টেশনের দক্ষিণে ২০৮ নং ব্রিজ এলাকায় আসলে ১৮ বগির মধ্যে ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ সময় ট্রেনের বগি ছিটকে পড়ে রেললাইনের পাশে থাকা চান মিয়া ও স্বপন মিয়ার বসত ঘরে। এতে চান মিয়া ও স্বপন মিয়া আহত হয়। এ ছাড়াও ট্রেন থাকা ১০ যাত্রী আহত হয়। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পূর্বাঞ্চলের রেলবিভাগ। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে তাদের।
এরপর গত সোমবার রাতে রেল কর্তৃপক্ষ লাকসাম রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
লাকসাম রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ওসি মুরাদ উল্লাহ বাহার বলেন, মামলার আলোকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিয়ড়া ইউপির তেলিগ্রামের কাজী বাড়ি থেকে কাজী আমির হোসেনের ছেলে কাজী সামির (১৫), একই বাড়ির কাজী আবুল কাসেমের ছেলে কাজী আল আমিন (১৫), কাজী আবু হানিফের ছেলে কাজী শাকিল ইসলাম প্রকাশ ফাহিম (১৪), কাজী আবদুল মালেকের ছেলে কাজী আবদুল্লাহ আল মামুন (১৩) কে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।আটককৃত কিশোররা ঘটনার আগে ওই ব্রিজের পাশে ঘোরাঘোরি করতে থাকলে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া দিলে তারা স্কুল ব্যাগ রেখে পালিয়ে যায়। ব্যাগে তল্লাশি করে রেললাইনের ৩টি বিয়ারিং প্লেট ও জন্মনিবন্ধন উদ্ধার করা হয়। ওই সূত্র ধরে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা সবাই মাদ্রাসা পড়ুয়া।
মন্তব্য করুন