বাংলাদেশে ইফতারে সব সময়ই জনপ্রিয় তরমুজ। এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তারা তরমুজের অতিরিক্ত দাম হাঁকিয়ে বিক্রি করেছেন। কিন্তু মাত্র এক দিনের ব্যবধানে সেই তরমুজের দাম নেমে এসেছে অর্ধেকে। বাজারেও ক্রেতা শূন্য। তরমুজের ক্রেতা না থাকায় দাম যেমন কমেছে তেমনি আমদানি বেড়েছে এ ফলের।
শনিবার (২৩ মার্চ) দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা গেটের সামনে ফলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, তরমুজের দোকানে চোখে পড়েনি কোনো ক্রেতা। দোকানি অলস সময় পার করছেন। রমজান ও দাবদাহের কারণে এক দিন আগেও তরমুজ প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। আর এখন তা ৪০ টাকাতেও নিতে চাচ্ছেন না ক্রেতারা।
বাজারে যেসব তরমুজ রয়েছে তার বেশিরভাগ পরিপক্ব নয়। কাটার পর ভেতরে লাল রং ধারণ করলেও এখনো মিষ্টতা আসেনি পুরোপুরি। ফলে এসব অপরিপক্ব তরমুজ চড়া দামে কিনে প্রতারিত হয়েছেন অনেকেই।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত ডিসেম্বর মাসে তরমুজের আবাদ শুরু হয়। ফল ওঠে এপ্রিলে। এরপর মে মাসজুড়ে মাঠে তরমুজ থাকে। এটি ভরা মৌসুম। পরিপক্ব তরমুজ উঠতে উঠতে চৈত্র মাস বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ হয়।
তরমুজ বিক্রেতা আবুল হোসেন কালবেলাকে বলেন, আমদানি বেশি হওয়ায় তরমুজের দাম কমেছে। বেচাকেনা বেশি না থাকায় দামটা পাওয়া যাচ্ছে না। আমদানি বেশি হলে দাম আরও কমবে। এ ছাড়া বৃষ্টি হওয়ার ফলে ক্রেতা একেবারেই নেই।
তরমুজ কিনতে আসা ফারুক হোসেন কালবেলাকে জানান, রোজা বলেই তরমুজ কিনতে এসেছি। গতকাল যে দামে কিনেছি আজ তা অর্ধেক দামে। এমন সহনশীল দাম থাকলে কিনে খেতে খুব একটা সমস্যা হবে না।
সুজন আলী নামের আরও এক ক্রেতা কালবেলাকে বলেন, অপরিপক্ব তরমুজে ছেয়ে গেছে পুরো বাজার। যার কারণে তরমুজ কেনার আগ্রহ হারিয়েছে ক্রেতারা। তরমুজের দাম কমায় তরমুজ কিনতে এসেছিলাম। তবে তরমুজ তেমন একটা ভালো না হওয়ায় না কিনেই চলে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন