পাবনার চাটমোহরের বিভিন্ন পথের পাশে ফুটছে গুল্মজাতীয় বহু বর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ ভাট গাছের ফুল। কেউ কেউ ঔষধি গুণসম্পন্ন ভাট গাছকে ভাটি, বনজুঁই বা ঘেটুও বলে থাকেন। গ্রাম এলাকার পরিচিত এ বুনো উদ্ভিদের ফুল বাড়িয়ে তুলছে প্রাকৃতিক সৈন্দর্য। ভাট ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছে মানুষ।
জানা গেছে, ভাট গাছের আদি নিবাস বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমার। ভাট গাছের দণ্ডায়মান প্রধান কাণ্ড দুই থেকে চার মিটার লম্বা হয়। খসখসে পাতাগুলো চার থেকে সাত ইঞ্চি লম্বা হয়। ডালের অগ্রভাগে সাদা ও বেগুনি মিশ্র রঙের ফুল ফোটে। বসন্তে মিষ্টি সৌরভের ফুল ফোটা শুরু হয়। গ্রীষ্মকালেও ভাট গাছে ফুল ফুটে থাকতে দেখা যায়।
উপজেলার হরিপুর মসজিদপাড়া সিদ্দিকীয়া আলিম মাদরাসার বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস ছালাম জানান, দৃষ্টিনন্দন ভাট ফুল সৌন্দর্যপ্রিয় মানুষের মনের খোরাক জোগায়। রাস্তার পাশে, পরিত্যক্ত জমিতে অনাদর অবহেলায় বেড়ে ওঠা ভাট গাছের ফুল বসন্তে প্রাকৃতিক সৈন্দর্যে যোগ করে বাড়তি মাত্র। পথচারীরা উপভোগ করেন আবহমান বাংলার আদি বুনো ফুলের অপরূপ রূপ।
হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বড় বেলাই গ্রামের আব্দুল খালেক জানান, চাটমোহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে ওঠে ভাট গাছ। বছরের পর পর বছর রাস্তার পাশে ভাট গাছ দেখে আসছি। বসন্তকালে যখন ভাট ফুল ফোটে তখন ফুল থেকে মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে। যখন বাতাসে ভাট ফুলের শীষ দোল খায় তখন সুখানুভুতিতে মনও যেন আচ্ছন্ন হয়।
ছাইকোলা গ্রামের উজ্জ্বল হোসেন জানান, চাটমোহর-হান্ডিয়াল, চাটমোহর-ছাইকোলা, চাটমোহর-হরিপুর সড়কসহ বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক পথের পাশে এবং চাটমোহরের রেলপথের দুইপাশে ভাট ফুল চোখে পরছে। ভাট ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন পথচারীরা।
মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক প্রদীপ দাশ জানান, ভাট গাছ ও ভাট ফুল প্রাকৃতিক পরিবেশের অংশ বিশেষ। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভাট ফুল দিয়ে ভাঁটি পূজার আয়োজন করে থাকেন।
মন্তব্য করুন