হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টাকার অভাবে বুয়েটে পড়াশোনা অনিশ্চিত মিরাজের

মিরাজ বাবু। ছবি : কালবেলা
মিরাজ বাবু। ছবি : কালবেলা

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার অদম্য মেধাবী ছাত্র মিরাজ বাবু। তার লেখাপড়ায় প্রতিবন্ধকতা হতে পারেনি দরিদ্রতা। সব বাধা অতিক্রম করে চলতি বছর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েটে) ১০৪১তম হয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন মিরাজ। তবে অর্থের অভাবে তার ভর্তি ও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বুয়েটের ভর্তির শেষ সময়।

জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ফকির পাড়া গ্রামের আতোয়ার রহমান ও মা মরিয়ম বেগম দম্পতির ছেলে মিরাজ বাবু।

মিরাজের বাবা আতোয়ার রহমান একজন বর্গাচাষি। বাড়ি ভিটা ছাড়া জায়গা জমি বলতে কিছুই নেই। মিরাজ বাবু নিজের ও তার বড় বোন আয়েশা সিদ্দিকার টিউশনির টাকায় এতদিন পড়াশোনা চালিয়ে আসছে। দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করে এতদূর এগিয়ে আসার পরও অর্থ-সংকটে বুয়েটে ভর্তি ও পড়াশোনার উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে তার।

মিরাজ বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে এসএসসি জিপিএ ৪.৭২ ও হাতীবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিনের ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২৩ সালে বিজ্ঞানবিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

মিরাজ বাবুর বাবা বর্গাচাষি আতোয়ার রহমান বলেন, আমি একজন বর্গাচাষি অন্যের জমির চাষাবাদ করে কোনো মতো সংসার চালাই। এখন ছেলে বুয়েটে চান্স পেয়েছে। তার পড়াশোনা করার সাধ্য আমার নেই। কেউ যদি সাহায্য করে তাহলে ছেলেকে পড়াশোনা করাতে পারব।

মিরাজ বাবু বলেন, অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর থেকে আমি টিউশনি করাই। সেই টাকা দিয়ে কষ্ট করে পড়াশোনা করছি। এতে স্কুলের শিক্ষক ও কলেজের স্যাররা আমাকে খুবই সহযোগিতা করেছেন। ওনারা বিনা টাকায় প্রাইভেটও পড়িয়েছেন। এর আগে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (রুয়েট) চান্স পেয়েছি। এবার বুয়েটে চান্স পেয়েছি। আমার শখ আমি প্রকৌশলী হব। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে পড়াশোনা চালানো সম্ভব নয়। তাই আমি পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন সংস্থার কাছে সহযোগিতা চাই।

এ বিষয়ে বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুল বারি বলেন, ছোট থেকে অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে মিরাজ। এখন বুয়েটে ভর্তির চান্স পেয়েছে। তার পরিবারের পক্ষে লেখাপড়ার খরচ চালানো অসম্ভব। তার সহযোগিতায় কেউ এগিয়ে এলে হয়তো তার স্বপ্নপূরণ হবে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানা নেই তবে, আগামীকাল অফিসে আমার সাথে দেখা করলে বিষয়টি নিয়ে আমি ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এবার তিশার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে

আইটেম গানে শাকিবের নায়িকা, সমালোচনার কড়া জবাব

বিপিএল: বিদেশি লেগস্পিনারকে দলে ভেড়াল চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ প্রবেশপথ অবরোধ

এক লাফে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ শহরে উঠে এলো ঢাকা

পেছাতে পারে জকসু নির্বাচন, প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

রশির সূত্র ধরে যেভাবে বেরিয়ে এলো শিশু জায়ান হত্যার রহস্য

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের তুমুল সংঘর্ষে আহত ২৭

ভূমিকম্পপ্রবণ ঢাকা হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর

তপশিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো হবে : সিইসি

১০

জামায়াতের মনোনয়ন পেলেন আলোচিত ড. ফয়জুল হক

১১

তৌসিফের নায়িকা মিস ওয়ার্ল্ড নীলা, পর্দায় আসছে নতুন জুটি

১২

এবার নিজেকে ‘গার্ডিয়ান অব চিটাগাং’ ঘোষণা শাহজাহান চৌধুরীর

১৩

বার্সাকে উড়িয়ে দিল চেলসি, লেভারকুসেনে ‘স্তব্ধ’ সিটি

১৪

স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ, ১৪ বছরের সংসারের ইতি টানলেন সেলিনা

১৫

লক্ষ্মীপুরে বাসে আগুন

১৬

আজ কী আছে ভাগ্যে, জেনে নিন রাশিফলে

১৭

জানা গেল কবে বিয়ে করবেন রোনালদো, কোথায় হবে অনুষ্ঠান

১৮

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু করতে প্রস্তুত ফ্রান্স

১৯

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

২০
X