হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৩, ১১:২৪ এএম
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৩, ১২:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এখনো বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি

নৌকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে পানিবন্দি মানুষকে। ছবি : কালবেলা
নৌকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে পানিবন্দি মানুষকে। ছবি : কালবেলা

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তাপাড়ের প্রায় ৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

শনিবার সকাল ৬টায় হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে গত শক্রবার সকালে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বিকেলে তা কমে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। তবে আজ শনিবার ভোর থেকে আবারও পানি বাড়তে থাকে। বর্তমান তিস্তায় পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটারে ওপরে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে কয়েকদিন থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাত থেকে গত কয়েক দিনের তুলনায় পানি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে গড্ডিমারী, সানিয়াজান, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। শক্রবার (১৫ জুলাই) সকালে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বিকেলে তা কমে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।

এদিকে শনিবার ভোর থেকে আবারও পানি বাড়তে থাকে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে গড্ডিমারী ইউনিয়নের মাছুম মিয়া বলেন, পানি বাড়ে আবার কমে। কয়েক দিন থেকে পানি বৃদ্ধির কারণে আমার পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। রান্না করে খাবার খাওয়ার মতো অবস্থা নেই। এখন আবার ভাঙন শুরু হয়েছে।

গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, আমার ইউনিয়নে প্রায় ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি ত্রাণে বরাদ্দ পাইনি। তবে আমার নিজ অর্থায়নে পানিবন্দি পরিবাদের শুকনো খাবার বিতরণ করছি।

ডালিয়া পানি উন্নায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসাউদ্দৌলা বলেন, গত দুদিন থেকে উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, পানিবন্দি মানুষের জন্য শুকনো খাবার ও ত্রাণ বিতরণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতিমধ্যে অনেক পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঘরে বসেই ঘন ও স্বাস্থ্যবান চুল পেতে মেনে চলুন এই ৭ টিপস

সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা 

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মুরগি

জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীকে হত্যা, আ.লীগ নেতা মানিক গ্রেপ্তার

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার পলক-আতিক, রিমান্ডে কিরণ

কক্সবাজারে মাহিন গ্রুপের ২ সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

ভক্তদের চমকে দিলেন হানিয়া আমির

রক্তের দাগ অনুসরণ করে মিলল অটোচালকের মরদেহ

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশার ঘনত্ব জরিপ গতিশীল হোক

ডাকসুর পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা ছাত্রদলের

১০

জুলাই হত্যাযজ্ঞ / পুলিশ কর্মকর্তা সাজ্জাদের জামিন স্থগিত, আত্মসমর্পণের নির্দেশ

১১

বিল বেশি আসায় লাইনম্যানকে ‘মারধর’, মিটার খুলে নিল বিদ্যুৎ অফিস

১২

নেদারল্যান্ডস সিরিজ খেলবেন না মিরাজ

১৩

ভয়াবহ অভিযানের দ্বিতীয় ধাপ অনুমোদন, গাজার পথে ৬০ হাজার ইসরায়েলি সেনা

১৪

রাতের আঁধারে সরকারি ৩০০ বস্তা সার আটক

১৫

'ওয়ার ২'-এর সাফল্যের মাঝে প্রিয়জন হারালেন জুনিয়র এনটিআর

১৬

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে ‘পেছনে’ ফেলে ইতিহাস সালাহ’র

১৭

তেরোখাদায় পারভেজ মল্লিকের রাজনৈতিক কার্যালয় উদ্বোধন

১৮

দাঁত ব্রাশ করার পরও মুখে দুর্গন্ধ? চিন্তা নেই, রইল সহজ ৬ সমাধান

১৯

৪ নারীকে ধর্ষণসহ ৩২ অভিযোগে ক্রাউন প্রিন্সেসের ছেলের বিচার শুরু

২০
X