গাজীপুরের কালীগঞ্জ জামালপুর এলাকায় মাদকাসক্ত পুত্রের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বাবা। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে জামালপুর গ্রামের রশিদ বাগমারের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্তের নাম রশিদ বাগমার। নিহত ছেলের নাম কাউছার বাগমার। কাউছার ৫ মাস আগে সৌদি থেকে দেশে ফেরেন।
জানা যায়, সৌদিফেরত পুত্র কাউছার বাগমার গত ৫ মাস পূর্বে দেশে এসে মাদকাসক্তদের সংস্পর্শে মাদক সেবন শুরু করেন। প্রায়ই নেশার টাকা জোগাতে পিতা-মাতাকে চাপ দিত ও মারধর করত। বুধবার নেশার টাকার জন্য ভোরের দিকে বাবা এবং মাকে বেদম প্রহার করে কাউছার। এ সময় মা বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যায়।
পরে ছেলে কাউছার ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পরে। সেই সুযোগে ছেলের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ বাবা ধারালো কুড়াল এনে ঘুমরত ছেলের মাথায় কোপ দিলে কপালের আংশিক অংশ দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। রশিদ বাগমার ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাক অবস্থায় বাড়িতেই বসে থাকেন।
এ খবরে এলাকার লোকজন এসে ঘটনাটি দেখে ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল আলমকে খবর দেয়। চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিক কালীগঞ্জ থানাকে অবগত করেন। কালীগঞ্জ থানার ওসি পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক বাবাকে আটক করেন।
এ বিষয়ে রশিদ বাগমার বলেন, তার যন্ত্রণায় আমি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। সাত লাখ টাকা খরচা করে তাকে বিদেশ পাঠিয়েছিলাম। এখন আমার জমি জমা কিছু নাই। টাকা চাইতে গেলে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে। এখনো ধারের টাকা পরিশোধ করতে পারিনি। পাওনাদাররা প্রায়ই আমার বাড়িতে টাকা চাইতে আসে। কিন্তু ছেলে এখন প্রায়ই নেশা করার জন্য আমার কাছে জোর পূর্বক টাকা চাইত।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাব উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। মৃতদেহসহ হত্যাকারী রশিদ বাগমারকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। নিহতের মা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মন্তব্য করুন