নরসিংদীর রায়পুরায় প্রতিবন্ধী শিশুকে চড় দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্বজনদের হামলায় চাঁন মিয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত চাঁন মিয়া শিমুলতলী এলাকার বাসিন্দা ও চরমরজাল শিমুলতলী বাজার জামে মসজিদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ২টায় উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের চরমরজাল শিমুলতলী এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে।
রায়পুরা থানার ওসি সাফায়েত হোসেন পলাশ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত চলছে। এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযাগ নিয়ে থানায় আসেনি। তা ছাড়া নিহতের পরিবারের সঙ্গে আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে প্রতিবন্ধী শিশু স্বাধীন চরমরজাল শিমুলতলী বাজার জামে মসজিদে এসে নামাজে মুসল্লিদের বিরক্ত করছিল। এ সময় মসজিদ কমিটির সভাপতি চাঁন মিয়া শাসন করে স্বাধীনকে চড় মারে। পরে স্বাধীন তার মামা সোহেল ও জামালকে জানালে তারা মসজিদের সামনে এসে চাঁন মিয়ার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে চাঁন মিয়াকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান। স্থানীয়রা আহত চাঁন মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টায় তিনি মারা যান।
মরজাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, নামাজের সময় এক শিশু বিরক্ত করায় তাকে মসজিদ কমিটির সভাপতি শাসন করেছিল। এরই জের ধরে তার স্বজনরা সভাপতিকে মারধর করে। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ রকম একটি ঘটনা থেকে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। আমরা সকলে মর্মাহত।
রায়পুরা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হালিম বলেন, মসজিদে নামাজ পড়ার সময় এক শিশু চিল্লাচিল্লি করেছিল। পরে তাকে শাসন করার জেরে স্বজনদের সঙ্গে মসজিদ কমিটির সভাপতি চাঁন মিয়ার কথাকাটাকাটি হয়। পরে মারধরের ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, এতে চাঁন মিয়া মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত আছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন