পুলিশের সামনেই এক ব্যক্তিকে কোপানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ কে এম বেলায়েত হোসেনের ছেলে রাশেদ হায়দার সোহেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান। পুলিশের সামনে কোপানোর নির্দেশ দেওয়ার একটি ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে রাশেদ হায়দারের দাবি, রমজানে হোটেল খোলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। ঘটনার খণ্ডিত অংশ ভিডিও করে প্রচার করছে একটি মহল।
জানা গেছে, নিজের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলেও সোহেল নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। তার বড় বোন হুরে আরা বেগম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সংরক্ষিত ১০ নম্বর আসনের কাউন্সিলর। নগরের হালিশহর এলকায় জায়গাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই দাপট খাটানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তবে সোহেলের ঘটনার খণ্ডিত অংশ প্রচার করে বিষয়টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহের চেষ্টা করছে একটি পক্ষ।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) মিজানুর রহমান নামের একটি ব্যক্তি সোহেলের বিরুদ্ধে নগরের হালিশহর থানায় ওই জিডি ডায়ের করেন। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২৫ মার্চ নগরের হালিশহর থানাধীন বি-ব্লক এলাকায় জামিলুর রহমান নামে এক ব্যক্তির জায়গা দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় রাশেদ হায়দার সোহেল। তাছাড়া গত ৩০ মার্চ রাতে মিজানুর রহমানকে কোপানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাশেদ হায়দার সোহেলের বিরুদ্ধে।
হালিশহর থানার ওসি কায়সার হামিদ জানিয়েছেন, রাশেদ হায়দার সোহেল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও কালবেলার হাতে এসেছে। এতে দেখা গেছে বিবদমান বিষয়টি নিয়ে থানার ওসির সঙ্গে কথা বলতে বলেন এএসআই সামসুদ্দোহা। তবে সোহেল তাতে রাজি হয়নি। হঠাৎ করেই মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় সোহেল। এ সময় মিজানুর রহমানকে মারধর করার জন্য তেড়ে যান সোহেল। পরে মিজানকে কোপানোর জন্য সোহেলের অনুসারীদের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় মিজানুর রহমান প্রাণনাশের শঙ্কায় রাশেদ হায়দার সোহেলের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে রাশেদ হায়দার সোহেল কালবেলাকে বলে, ‘আমি একজন প্রবাসী। তিন মাস আগে দেশে এসেছি। আমি কেন আরেকজনের জায়গা দখল করতে যাব? মূল ঘটনা হচ্ছে ওই প্লটে রমজানের শুরুতে একটি খাবারের হোটেল খোলা হয়েছিল। যেখানে বিভিন্ন ধরনের বাজে আড্ডা ও বিশৃঙ্খলা হচ্ছিল। আমাদের মা-বোনেরা চলাফেরা করতেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল। তাই আমি সেটি তুলে ফেলতে অনুরোধ করি। এ ঘটনার কিছু খণ্ডিত অংশ একটি মহল প্রচার করছে।’
মন্তব্য করুন