বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঈদে ভাড়া কমলো লঞ্চে, বাড়াল বাসে

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

ঈদের ছুটি শুরুর আগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। বরিশালে নৌপথের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি যাত্রীচাপ সড়কপথে। পরিবহনগুলোর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের। তবে বিপরীত চিত্র লঞ্চে। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ১০০ টাকা কমিয়েও আশানুরূপ যাত্রী পাচ্ছে না লঞ্চগুলো। ঢাকা-বরিশাল রুটে বাসের টিকিটের দাম ২০০ টাকা বাড়তে নিলেও লঞ্চে টিকিটের দাম ১০০ টাকা কমানো হয়েছে। ঈদের ছুটি শুরু ৯ এপ্রিল থেকে। টানা ৬ দিনের ছুটি ঝক্কিঝামেলা এড়াতে আগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে অনেক ঘরমুখো মানুষ। সোমবার (৮ এপ্রিল) বরিশাল রুটে সড়ক পথে যাত্রীদের ব্যাপক চাপ দেখা যায়।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বরিশালে সড়কপথে যাত্রীচাপ অনেক বেড়েছে। ঢাকা বরিশালের সড়কে প্রতিদিন দেড় হাজার বাস চলাচল করছে। আগে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগলেও এখন লাগছে মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। কম সময়ে যাতায়াতে যাত্রীচাপ বাড়ায় সুযোগ নিয়েছে বাস মালিকরা। অভিযোগ, জনপ্রতি ৫০০ টাকার ভাড়া এখন ৭০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকা। তবে ভাড়া বৃদ্ধির অভিযোগ মানতে নারাজ পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

মাসুদ নামের এক যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে বরিশালে প্রতিটি বাসের ভাড়া ৫০০ করে লেখা। কিন্তু আমার থেকে রেখেছে সাড়ে ৭০০ টাকা। এটা আসলেই দুঃখজনক। মেহেদি নামের আরেক যাত্রী জানান, প্রতিটি বাসের ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। এটা আসলেই অন্যায়। আমরা হতাশ। তবে বিভিন্ন পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান কোনো পরিবহনই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে যে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে তাহলে দ্রুত জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে সড়কে যাত্রীচাপ বাড়ায় চিরচেনা রূপ হারিয়েছে নৌপথে। যাত্রী টানতে নির্ধারিত ভাড়া ৪৫৮ টাকা থাকলেও তা কমিয়ে নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকা। ডাবল ও ভিআইপি কেবিন প্রতি ভাড়া কমানো হয়েছে ৫০০ টাকা। প্রতিদিন ৮টি লঞ্চ চলাচলের জন্য প্রস্তুত রাখা হলেও আশানুরূপ যাত্রী না পাওয়ায় চিন্তিত লঞ্চ মালিকরা।

লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, কাঙ্ক্ষিত যাত্রী না থাকায় প্রতিটি লঞ্চেই এখনো আমাদের লোকসান হচ্ছে। ঈদে এমন লোকসানে আমরা হতাশ। তবে গার্মেন্টস ছুটি হলে কিছুটা যাত্রী বাড়তে পারে। তখন কিছুটা হলেও আমরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব বলে আশা করি।

এদিকে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে কাজ করছে ৮৭ জন নৌপুলিশের সদস্য। ঘাটে কন্ট্রোল রুম স্থাপনসহ প্রতিনিয়ত টহল দিচ্ছেন তারা। নৌ কিংবা সড়ক, যেপথেই হোক না কেন যাত্রী হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় পুলিশ।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে অস্থায়ী ক্যাম্পে নির্মাণের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ৯৫টি পয়েন্ট বসানো হয়েছে ২৬০টি সিসি ক্যামেরা। এ ছাড়া অতিরিক্ত ৪০০ পুলিশ সদস্য মাঠে কাজ করছে।

বরিশাল অঞ্চল নৌপুলিশের পুলিশ সুপার কফিল আহমেদ বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তায় আমরা বদ্ধপরিকর। নৌপুলিশসহ গোয়েন্দা বিভাগ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। আশা করছি এবার কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই ঈদযাত্রা শেষ করা যাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিলাসবহুল বাংলোতে রণবীর-আলিয়ার সুখের সংসার

খুবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৮ ডিসেম্বর, আসনপ্রতি লড়বেন ৯৭ জন

বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত

এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কী, খরচ কেমন হতে পারে?

ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র : জেনে নিন কোন পটে কারা

শাজাহান খানের মেয়ে ঐশীর নামে দুদকের মামলা

জাবিতে চার আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন

বিশ্বকাপের ড্র আজ : কখন, কোথায় হবে জেনে নিন

আরও ক্ষমতা বাড়ল পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের

গরম ডাল-ভাতের সঙ্গে লেবু চিপে খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর?

১০

ফের বিতর্কে শাহরুখপুত্র

১১

মহাসমাবেশ থেকে পে-স্কেল নিয়ে নতুন ঘোষণা সরকারি কর্মচারীদের 

১২

বিপিএল: চট্টগ্রাম রয়্যালসের সমর্থকদের জন্য মিলল দুঃসংবাদ

১৩

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত

১৪

আরও ৩০ দেশের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

১৫

কম্পিউটারের স্ক্রিন কি আপনার বয়স বাড়িয়ে দিচ্ছে, জানুন কী করবেন

১৬

মালাইকার বিস্ফোরক মন্তব্য

১৭

এভারকেয়ারে পৌঁছেছেন ডা. জুবাইদা

১৮

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, মিলল চিরকুট

১৯

‘ঋতুকামিনী’র অপেক্ষায় অধরা

২০
X