গাজীপুরের শ্রীপুরে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে এক শিশুর মরদেহ মিলেছে গভীর গজারি বনে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় শ্রীপুর থানার ওসি মো. আকবর আলী কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. রনি মিয়া। তিনি শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের সাভারচালা গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত শিশু মো. মেহেদী হাসান মাহিম টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার বেড়িবাইদ গ্রামের মো. আমিনুল ইসলামের ছেলে। আমিনুল পরিবার নিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার মাধখলা গ্রামে ভাড়া থেকে দিনমজুরের কাজ করেন।
ওসি মো. আকবর আলী বলেন, অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে গভীর গজারি বনে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘাতক রনি। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামি রনি একজন পেশাদার চোর ও অপহরণকারী। তার বিরুদ্ধে আগেও শ্রীপুর থানার মামলা রয়েছে।
শিশু মেহেদীর বাবা আমিনুল ইসলাম বলেন, ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি, মাহিমকে রনি মিয়ার সঙ্গে দেখা গেছে। পরে রনির বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর রাতে মেহেদীর মায়ের মুঠোফোনে অজ্ঞাতপরিচয়ে এক ব্যক্তি ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা জোগাড় করে ফোন দিলে ওই নম্বর বন্ধ পাই। পরে পুলিশ আমার ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইসমাইল বলেন, গত সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার মাধখলা গ্রাম থেকে মাহিমকে অপহরণ করে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় মাহিমের বাবা শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। মামলার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শ্রীপুরের কাওরাইদ রেলস্টেশন এলাকা থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি বলেন, আসামি রনি জানায়, মাহিমকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করা হয়েছে। মাহিম তাদের কাছে এক জায়গায় আছে। পরে রনিকে নিয়ে উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের মহাখারী বাগানের টেক গ্রামের গজারি বনের ভেতর থেকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে মো. মেহেদী হাসান মাহিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন