প্রচণ্ড গরমে নোয়াখালীর হাতিয়ার জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট হাইস্কুলের আরও চার শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের পাঠদান চলাকালে অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্তব্যরত উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তাকে ডেকে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিদ্যালয়টিতে পাঠদান কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার একই বিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষার্থী প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেন। এ নিয়ে ওই বিদ্যালয়ে ২২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নোয়াখালীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিদ্যালয়ের সহকারী জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ফাতেমা ইসরাত বলেন, বেলা ১১টার দিকে পাঠদান চলাকালে হঠাৎ গরমে অষ্টম শ্রেণির একজন এবং ষষ্ঠ শ্রেণির তিনজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তারা পানি ও শরবত পান করিয়ে এবং হাতপাখার বাতাসে শিক্ষার্থীদের সুস্থ করার চেষ্টা করেন। অবস্থার অবনতি দেখে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। পরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্তব্যরত উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা রইছ উদদীন আহমেদ এসে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেন।
উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা রইছ উদদীন আহমেদ বলেন, অসুস্থ শিক্ষার্থীরা প্রচণ্ড গরমে শরীর ঘামায় কারও মাথাব্যথা, কারও পেটব্যথা এবং কারও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। অসুস্থ চারজন শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজনকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের সামনের বারান্দায় এবং একজনকে তার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছেন। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে সবাইকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, বিদ্যালয়ের টিনশেড ঘর হওয়ার কারণে সকালের দিকের রোদের তাপেই শিক্ষার্থীরা হাঁসফাঁস করতে থাকে।
মন্তব্য করুন