ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল লিমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সদর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গী গ্রামে লিমার শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
লিমা সদর ইউনিয়নের আব্দুল মজিদ খার ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা মৃত শেখ বাবুলের বড় মেয়ে। তার আট বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
লিমার স্বামী সৌদি প্রবাসী রাশেদ মোল্লা (৩৪) জানায়, তিনি তিন মাস হলো ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। ঘটনার দিন সকালে তার স্ত্রী মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে স্কুলে পাঠায়। রাশেদ মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি শুরু করে।
তিনি জানান, কোনো সারা না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে স্ত্রী গলায় শাড়ি পেঁচানো অবস্থায় আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তাদের সহযোগিতায় লিমাকে দ্রুত চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফারজানা আকবর প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গৃহবধূকে মৃত ঘোষণা করেন। ডা. ফারজানা বলেন, গৃহবধূ হাসপাতালে আসার আগেই মারা গিয়েছিল। মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরভদ্রাসন থানার ওসি আব্দুল ওহাব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর আসল ঘটনা উদ্ঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় চরভদ্রাসন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
মেয়ের চাচি জিয়াসমিন ও নুরজাহান জানান, লিমা অত্যন্ত সাধারণ ঘরের একটি মেয়ে। ওর বাবা প্রায় ৯ বছর পূর্বে মারা গেছে। তাদের সংসারে কোনো অশান্তি ছিল না। প্রায় দুই বছর যাবত বাবার বাড়িতে যাতায়াত বন্ধ ছিল লিমার।
মন্তব্য করুন