বৃষ্টি না এসে এ রোদটা আরও কয়েকটা দিন থাকলে, সব ধান ঘরে তুলতে পারব। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কথাগুলো বলছিলেন নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় গড়াডোবা ইউনিয়নের খড়মুড়িয়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমি ২৭ কাটা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। বেশির ভাগ কাটা হয়ে গেছে। কাটা প্রতি ৮-১০ মণ করে ধান হচ্ছে। দামও ভালো পাচ্ছি। শ্রমিক সংকট কিছুটা থাকলেও সরকার প্রদত্ত হারভেস্টার মেশিন সহজলভ্য হওয়ায় ধান তুলতে বেগ পেতে হচ্ছে না। আল্লাহ যদি আর কয়টা দিন বৃষ্টি না দিয়ে রোদ দিয়ে যান তাহলে আমারসহ এলাকার হাওরের সব ধান কাটা শেষ করা যাবে।
উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের কৃষক সুলতান মাহমুদসহ আরও কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারাও বলেন, এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ও ভালো পাচ্ছি। প্রতি মণ ধান ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে । তবে আর কয়েকটা দিন বৃষ্টি না হয়ে কড়া রোদ থাকলে ধান সহজেই কেটে ঘরে তোলা সম্ভব হবে।
কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো-ইরি মৌসুমে পৌর এলাকাসহ ১৩টি ইউনিয়নে ২০ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ টনের বেশি। এ উপজেলায় বিআর ২৮,২৯, হীরা,হাইব্রিড ৭৫,৮১,৮৯, সবুজ সাথীসহ বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করা হয়। এ সময় বিভিন্ন রোগের আক্রমণ থাকলেও কৃষকরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, মৌসুমের শুরুতে সরকারিভাবে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ উপজেলায় ৯ হাজার ৩০০ কৃষককে উফসী ধানের বীজ, ডিএপি সার ও এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। ফলন বৃদ্ধিতে মাঠপর্যায়ে থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেছেন উপজেলা কৃষি অফিস। মঙ্গলবার পর্যন্ত হাওর এলাকায় ৮০ শতাংশের মতো ধান কাটা শেষ হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন