‘মাটির দরকার হলে মাথা ঠিক থাকে না। যেখানেই পাই সেখান থেকেই মাটি নিই।’ এভাবেই সরল স্বীকারোক্তি দেন শহর রক্ষা বাঁধের মাটি কেটে ইট বানানো মেসার্স নুরুল আলম ব্রিক ফিল্ডের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
জানা যায়, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের ওপর নির্মিত ১০০ কিলোমিটার সড়কের মাটি কেটে নিয়ে গেছে স্থানীয় ইট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নুরুল আলম ব্রিক ফিল্ড। এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সরকারি খালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঠি লুটের অভিযোগ রয়েছে।
চাঁদপুর লক্ষ্মীপুর শহর রক্ষা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য এই বাঁধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর দিয়ে চাঁদপুর শহরের নানিপুর স্লুইসগেট থেকে শুরু হয়ে চাঁদপুর জেলার- ফরিদগঞ্জ, হাইমচর; লক্ষ্মীপুর জেলার- রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর হয়ে আবার চাঁদপুরের সঙ্গে মিলেছে। প্রতিবছর সরকারের কোটি টাকা খরচ হয় গুরুত্বপূর্ণ এ বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের কাজে।
সরকারি রাস্তার পাশ থেকে এভাবে মাঠি লুট করে নিয়ে যাওয়ার কারণে যে কোনো সময় ধসে যেতে পারে সড়কটি। এমন ভয়ংকর ক্ষতি জেনেও প্রভাবশালীদের ভয়ে কথা বলতে সাহস পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের মাটি কাটার সত্যতা স্বীকার করে মেসার্স নুরুল আলম ব্রিক ফিল্ডের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যখন মাটির দরকার হয় তখন মাথা ঠিক থাকে না। রাস্তার এ অংশে সরকারের জায়গা কমই রয়েছে, যা আছে সব অন্য পাশে। মাটি আনার ১০-১৫ দিন পরে আবার ভরাট করে দিই। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা, মাটির অভাব পড়লে মাথায় কাজ করে না।
চাঁদপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা সরেজমিনে বিষয়টি দেখব। যথোপযুক্ত প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন