গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চলনবিলের মাঠভরা সোনালি ধান কাটতে ব্যস্ত কৃষকরা

বোরো ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। ছবি : কালবেলা
বোরো ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। ছবি : কালবেলা

বোরো সোনালি পাকা ধানে ভরে গেছে নাটোরের গুরুদাসপুর চলনবিলের মাঠ। বাতাসে পাকা ধানের মতো দুলছে কৃষকের সোনালি হাসি। ইতোমধ্যে মাঠে শুরু হয়েছে ধান কাটার মহোৎসব। কষ্টের ফসল গোলায় তুলতে কৃষকের ঘরে বইছে উৎসবের আমেজ।

আবহাওয়া অনুকূল ও পোকার আক্রমণ না থাকায় এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের ভালো ফলনে খুশি কৃষকরা। তবে কৃষকরা যাতে ধানের ন্যায্যমূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

কৃষি বিভাগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, জেলায় চলতি মওসুমে এ বছর ৬০ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে গুরুদাসপুর উপজেলাতে ৫ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে ২৭ হাজার ২১০ টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ধরা হয়। নাটোর সদরসহ জেলার সাত উপজেলাতে প্রায় দুই লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৯ টন ধান উৎপাদন হবে ধারণা করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়নের চলনবিল মাঠজুড়ে শুধুই পাকা ধান আর ধান। মাঠে ব্রিধান-২৯, ব্রিধান-৫৮, ব্রিধান-৭৪, ব্রিধান-৮৯ সহ স্থানীয় উন্নত অন্যান্য জাতের ধানের আবাদ দেখা গেছে। এর মধ্যে মাঠে বেশি আবাদ হয়েছে ব্রিধান-২৯, ব্রিধান-৫৮ ও ব্রিধান-৮৯ জাতের ধান। শুরু হয়েছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের মহোৎসব।

প্রচণ্ড রোদ মাথায় রেখে ঝড়ের শঙ্কায় কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। মাঠে দেখা মিলে শ্রমিকদের ধানের বোঝা মাথায় লম্বা লাইন। আর চাতালে মাড়াই করা পাকা ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের কর্মব্যস্ততা।

কৃষক জহুরুল, মিজু ও আফজাল হোসেনরা জানান, খরার বছর হলেও ভালো ফলনে ধান উৎপাদনে বৃদ্ধি পেয়েছে। বীজ, সার, কীটনাশক আর পানির অভাব ছিল না। ছিল না কোনো ভাইরাস পোকার আক্রমণ। গত বছর প্রতি বিঘাতে ২২-২৫ মণ ধান হয়েছে। এ বছর সেটা বেড়ে হয়েছে ২৫-৩০ মণ পর্যন্ত। তবে জমি লিজ ও শ্রমিক মূল্য বেড়েছে। গত বছর লিজসহ প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছিল ২৩ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। শ্রমিক মূল্য বাড়ায় একই জমিতে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার থেকে ২৭ হাজার টাকা পর্যন্ত।

গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন, সঠিক সময়ে কৃষকরা ভর্তুকি মূল্যে বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ পেয়েছে। জমিতে কোনো পোকার আক্রমণ ছিল না। প্রচণ্ড খরতাপেও ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এ বছর কৃষকরা উৎপাদিত ফসলে ভালো লাভবান হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ কালবেলাকে বলেন, জেলার ৫০ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে পাকা ধান কাটতে সকল উপজেলার কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই বাকি ধান কাটা শেষ হবে। এ বছর জেলাতে লক্ষ্যমাত্রার অধিক ধান উৎপাদন হবে এমনটাই আশা করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাঙ্গুনিয়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

আখাউড়া আনারস প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন

এভারেস্ট জয় করলেন আরেক বাংলাদেশি

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২০

বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার খবর কী?

সৌদিতে আরও ১ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

হজ পালনে সৌদি গেছেন ২৮ হাজারের বেশি বাংলাদেশি

জামালপুরে ধর্মঘট পালন করছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা

কী আছে আজ আপনার ভাগ্যে?

‘আমরা নিরাপদে নেই, দুই দিন ধরে না খেয়ে আছি’

১০

ইরানে দুই নারীসহ সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১১

পাঁচ প্রার্থীই আ.লীগের শীর্ষ নেতা, বিভক্ত কর্মীরা

১২

দুপুরের মধ্যে ঝড়ের শঙ্কা, ১০ অঞ্চলে সতর্কসংকেত

১৩

প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরেও সবুজায়ন হয়নি পাবিপ্রবি ক্যাম্পাস

১৪

ব্রিটেনে শিশুর নাম মোহাম্মদ রাখার হিড়িক

১৫

ইতিহাসের এই দিনে স্মরণীয় যত ঘটনা

১৬

সকালের মধ্যে তীব্র ঝড় হতে পারে যেসব জেলায়

১৭

১৯ মে : নামাজের সময়সূচি

১৮

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১৯

ধান ক্ষেতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

২০
X