চট্টগ্রামের হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহসিন কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। সকালে ওই কর্মসূচি শেষ করে সিআরবি এলাকায় আরও একটি কর্মসূচিত যোগ দিতে যাচ্ছিলেন চকবাজার থানা ছাত্রলীগ। এ সময় কলেজ গেট এলাকায় একটি টেম্পো ভাড়া করছিলেন তারা। এ নিয়ে হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে চকবাজার ছাত্রলীগের কয়েকজনের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের চারজন কর্মী আহত হন।
জাহেদুল আরও বলেন, অতর্কিত হামলায় আহত হয়েছেন ইমরান খান, আশিকুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম ও ইশান রাকিব। এদের মধ্যে ইমরান ও আশিকুলের মাথা ফেটে গেছে। বাকিরা হাত ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন। সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি। এরপর কলেজ থেকে পদযাত্রা নিয়ে বের হয়ে ঘুরে এসে পুনরায় কলেজের প্রধান ফটকে জড়ো হই। হঠাৎ চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদের নেতৃত্বে এলাকার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমিসহ আমাদের একাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। কোনো কথা ছাড়া লাঠি হকিস্টিক দিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়। আমি ডান হাতে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছি। এ ঘটনায় আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মায়মুন উদ্দিন বলেন, জাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। বিনা উসকানিতে এ হামলা করেছেন চকবাজার থানা ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী।
চকবাজার থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
মন্তব্য করুন