ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খালকুলা গ্রামে ফাতেমা খাতুন (৫০) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহত ফাতেমা খাতুনের পুত্রবধূ বিথি খাতুন।
পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের খালকুলা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আটককৃতরা হলেন, দুর্গাপুর গ্রামের বাদল মন্ডলের ছেলে সাগর হোসেন ও পশ্চিম ঝিনাইদহ গ্রামের ফেলু সরকারের ছেলে সুশান্ত সরকার ওরফে কুটি। আটককৃরা নিহতদের বাড়িতে বিভিন্ন সময় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
গান্না ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার খালকুলা গ্রামের ছাবদার হোসেন জানান, খালকুলা গ্রামের আবেদ আলী সৌদি আরব ও তার ছেলে মেহেদী মালয়েশিয়া থাকেন। ওই বাড়িতে বসবাস করতেন আবেদ আলীর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ও পুত্রবধূ বিথী খাতুন। বৃহস্পতিবার বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর খবর শুনে রাতে দুজন ডাকাতির উদ্দেশে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় আবেদ আলীর স্ত্রী ফাতেমা তাদের চিনে ফেলায় প্রথমে ফাতেমাকে গলা কেটে হত্যা করে।
এ সময় পাশের ঘরে শুয়ে থাকা পুত্রবধূ বিথি খাতুন ছুটে আসলে তার শ্বাসনালী কেটে মৃত্যু হয়েছে ভেবে কিছু নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। বিথী খাতুন আহত অবস্থায় প্রতিবেশী ওবাইদুল ও ইসরায়েলের বাড়িতে ছুটে যায় এবং কাগজ কলম চায়। কাগজ কলম নিয়ে বিথি দুই হত্যাকারীর নাম লিখে দেয়।
গ্রামবাসী বিষয়টি স্থানীয় বেতাই পুলিশ ফাড়ির তদন্ত কর্মকর্তা আমির হোসনকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার ও হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করে।
প্রতিবেশী ওহিদুল ইসলাম জানান, আহত বিথীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহিন উদ্দিন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা তাদের বাড়িতেই বিভিন্ন সময় রাজমিস্ত্রির কাজ করত। আজ শুক্রবারও কাজ করার কথা ছিল তাদের। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন