কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগার প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।
আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশ, এপিবিএন পুলিশ, আনসার, স্বেচ্ছাসেবীকর্মী, স্থানীয়রাসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করেন। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট পুড়ে ছাই হয়ে যায় বলে জানান রোহিঙ্গারা। তারা জানান, আগুনে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করতে গিয়ে নারী, শিশুসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণের খবর দেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দৌজা নয়ন।
রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত শরণার্থী কমিশনার সামছু-দৌজা বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টায় উখিয়ার ১৩ নম্বর তানজিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁঠাল গাছতলাস্থ বাজারে হঠাৎ আগুনে লাগে। এরপর মুহুর্তেই তা বাজারের অন্য দোকানপাটসহ আশপাশে ক্যাম্পের বসত ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তাৎক্ষণিক উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেওয়া হলে প্রথমে তাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরবর্তীতে স্টেশনটির আরও একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়।’ এরপর সেনাবাহিনী, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী কর্মিরাসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেন, ‘আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে খবর দেওয়া হয় কক্সবাজার ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকেও। পরে ফায়ার সার্ভিসের কক্সবাজার থেকে তিনটি এবং টেকনাফ থেকে দুইটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে।’
প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগুন লাগার ঘটনায় দুই শতাধিক বসতঘর ও বেশ কিছু দোকানপাট সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়েছে। এ ছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০ থেকে ৩০টির বেশি বসতঘর ও অন্যান্য স্থাপনা। তবে এখনও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
সামছু-দৌজা নয়ন বলেন, ‘এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা খতিয়ে দেখতে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা কাজ করছে। পাশাপাশি আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণেও সংশ্লিষ্টরা কাজ অব্যাহত রেখেছে।’
মন্তব্য করুন