কক্সবাজারের টেকনাফের উপকূলীয় বাহারছড়ায় ঝরনা দেখতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন তিন পর্যটক। তার মধ্যে ফয়জুল করিম রিয়াদ (৩৩) নামে একজন রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরে এলেও অপর দুজনের সন্ধান মেলেনি এখনও।
শনিবার (২৫ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর আগে শুক্রবার (২৪ মে) সকালে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়া খালী পাড়া বাঘ ঘোনা বাজারের পূর্বে ঝরনা দেখতে গিয়ে তারা অপহরণের শিকার হন।
অপহরণের শিকার অপর দুজন হলেন, রিজওয়ান ও রিদুয়ান।
স্থানীয়রা আহতাবস্থায় ফয়জুল করিম রিয়াদকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অপহরণকারীদের থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফয়জুল কবির রিয়াদ পালিয়ে আসে। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ছাড়া অপর দুই পর্যটক রিদওয়ান ও রিজওয়ান অপহরণকারীদের কাছে জিম্মি বলে জানা গেছে।
আহত রিয়াদ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পূর্ব রূপকানিয়া এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে এবং টেকনাফ আবু হানিফ মার্কেট ইত্যাদি ইলেকট্রিক ও লাইব্রেরি দোকানের মালিক।
অপহরণ থেকে ফিরে আসা ফয়জুল কবির রিয়াদ বলেন, আমাদের দোকানের কর্মচারী রিদুয়ান ঝরনা দেখতে যাওয়ার কথা বলে দুই ভাইকে তাদের এলাকায় নিয়ে যায়। পরে কয়েকজন দুর্বৃত্ত পাহাড়ে এসে আমাদের অপহরণ করে। এ সময় সুযোগ পেয়ে আহত অবস্থায় আমি পালিয়ে যাই। আমার ছোট ভাই রিজওয়ান ও কর্মচারী রিদুয়ান দুজনেই অপহরণকারীদের হাতে জিম্মি। তবে এ ঘটনার সঙ্গে দোকানের কর্মচারী রিদুয়ান জড়িত বলে আমার ধারণা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইলিয়াস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনের অপহরণের খবর পেয়েছি, স্থানীয় এক যুবকের যোগসাজশে নোয়া খালী পাড়া ঝরনা দেখতে যাওয়ার কথা বলে তাদেরকে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। শুনেছি একজন রক্তাক্ত অবস্থায় অপহরণের কবল থেকে ফিরে এসেছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. ওসমান গনি জানান, নোয়া খালী পাড়া এলাকার স্থানীয় যুবক রিদুয়ানের দাওয়াতে এসে দুই ভাইসহ তিনজনকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে একজন ফিরে আসলেও অপর দুজনকে অপহরণ করেছে বলে শুনেছি, তাদের উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন