ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় বরগুনার আমতলী উপজেলায় ১১১টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আমতলী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্যোগ প্রস্তুতি কমিটির জরুরি সভা করা হয়েছে। এ সভায় নদী তীরবর্তী মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সাইক্লোন শেল্টারে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় আমতলী উপজেলায় শনিবার বিকেল থেকে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, মৃদু বাতাস বইছে। পৌর শহরে মানুষের তেমন একটা আনাগোনা দেখা যায়নি।
রিমাল মোকাবিলায় আমতলী উপকূলীয় এলাকায় ০৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ ছাড়া যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ২ হাজার ৮৮০ জন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ও বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠপর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। আমতলী উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় শনিবার বিকেলে প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। সভায় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন।
রিমাল মোকাবিলায় আমতলীর বিভিন্ন এলাকায় এনএসএস ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া এবং দুর্যোগের বার্তা প্রচার করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নজরুল স্মৃতি সংসদ (এনএনএসএস)-এর নির্বাহী পরিচালক শাহাবুদ্দিন পান্না।
আমতলী উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ মোকাবিলায় উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি ২৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক দুর্যোগের বার্তা প্রচারসহ নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার কাজে প্রস্তুত রয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, জরুরি সভা করে ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ১১১টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করে সেখানে নদী তীরবর্তী সব মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সিপিপি এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের ২ হাজার ৮৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক মাঠপর্যায়ে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং অন্যান্য সামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন