রুবেল মিয়া নাহিদ, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
আপডেট : ০২ জুন ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বছরখানেক ধরে ভেঙ্গে আছে সেতু, সীমাহীন দুর্ভোগে গ্রামবাসী

বছরখানেক ধরে খালে ভেঙে পড়ে আছে সেতু। দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। ছবি : কালবেলা
বছরখানেক ধরে খালে ভেঙে পড়ে আছে সেতু। দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। ছবি : কালবেলা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার পশ্চিম ফুলজুরি হাওলাদার বাড়ি ও তুষখালী জমাদ্দার বাড়ির সংলগ্ন খালের ওপর নির্মিত সেতুটি বছরখানেক আগে ভেঙে গেছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ব্রিজটি পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ না নেওয়ায় মঠবাড়িয়া বাজার, গুদিঘাটা বাজার, তুষখালী বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

মঠবাড়িয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৩ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল লোহার ব্রিজটি। বছরখানেক আগে বালুর জাহাজ চলাচলের সময় ধাক্কা লাগে ব্রিজের পিলারের ক্ষতি হলে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এতে এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে গ্রামের বাসিন্দা ও পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্যের উদ্যোগে ব্রিজের পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়।

কিন্তু বর্তমানে সেটিও নড়বড়ে হয়ে পড়ায় হেঁটে চলা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলতে পারে না। এতে তুষখালীসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষেরা উপজেলা বৃহৎ ব্যবসা কেন্দ্র মঠবাড়িয়ার হাটে কৃষিপণ্যসহ ব্যবসার মালামাল নিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ ছাড়া রোগীসহ শিক্ষার্থীদেরও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হচ্ছেন দুই গ্রামের অন্তত কয়েক হাজার মানুষ।

ধানিসাফা এলাকার বাসিন্দা তারেক হাওলাদার বলেন, ২৩ বছর আগের নির্মাণ করা সেতুটি গত বছর পুরোপুরি ভেঙে খালে পড়ে গেছে। সংস্কারের অভাবে আজ ব্রিজটির এমন অবস্থা হয়েছে। দুই গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম ছিল ব্রিজটি।একটি বাঁশের সাঁকো করা হয়েছে। চলাচলের জন্য ব্রিজটি হলে আমাদের জন্য উপকার হবে।

ফুলজুরি এলাকার বাসিন্দা মাসুম গাজী বলেন, বালুর জাহাজের ধাক্কায় ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় এখন আমাদের বিকল্প পথে ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। এতে শিশু-নারী, বৃদ্ধ, রোগীসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই দ্রুত নতুন একটি ব্রিজটি পুনর্নির্মাণ দরকার।

তুষখালী ইউনিয়ন তোফেল আকল মমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, এ ব্রিজ পার হয়ে খালের ওপারের শিক্ষার্থীরা এপারের একটি কলেজ, দুটি হাইস্কুল, দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় পড়াশোনা করে। কিন্তু নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোয় তাদের ঝুঁকি নিয়ে খাল পার হতে হয়।

এলজিইডির মঠবাড়ীয়া উপজেলার প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত এ ব্রিজটি তৈরির অনুমোদন চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে এখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৬ বাংলাদেশি

যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে ৩ পুলিশ সদস্য নিহত

প্লাস্টিক পণ্যে ঝুঁকছে মানুষ, ঐতিহ্য হারাচ্ছে বাঁশ-বেতশিল্প

অবশেষে চালু হচ্ছে আল-নাসিরিয়াহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

অনেক কাজ করেছি, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো দিন হয়নি : আসিফ নজরুল

১৮ সেপ্টেম্বর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৮ সেপ্টেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই

১০

ভোট সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে রাকসু নির্বাচনে ৬ দাবি ছাত্রদলের

১১

পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

১২

সাজেক থেকে ক্যাম্পাসে ফেরা হলো না খুবি ছাত্রীর

১৩

ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ ৩৮ বাংলাদেশির সন্ধান মিলেছে

১৪

বিজিবির অভিযানে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার উদ্ধার

১৫

এশিয়া কাপে পাকিস্তানি ফিল্ডারের থ্রোয়ে আহত আম্পায়ার

১৬

‘ভুল করে মায়ের পাসপোর্ট নিয়ে জেদ্দায় যান পাইলট মুনতাসির’

১৭

শাহীনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সুপার ফোরে পাকিস্তান

১৮

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ

১৯

এশিয়া কাপে পাকিস্তান ওপেনারের লজ্জার রেকর্ড

২০
X