নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই ৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানিতে (নেসকো-পিএলসি) চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে নিয়োগে এমন অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
নীতিমালা অনুযায়ী, সরাসরি জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা বাধ্যতামূলক। চাকরিপ্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণও বাধ্যতামূলক। তবে ৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালাই অনুসরণ করা হয়নি। নেসকোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আত্মীয়-স্বজনেরা এই নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ পেয়েছে দুদক।
দেশের উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা নেসকোর প্রধান কার্যালয় রাজশাহীতে। যে অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে, সেখানে বলা হয়েছে, প্রকৌশলী, সহকারী ব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন পদে এই ৩১ জনকে প্রথমে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কয়েক মাসের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাঁদের চূড়ান্ত নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। নেসকোর পরিচালনা পর্ষদের ১০৪তম সভায় তাঁদের চূড়ান্ত নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর নিয়োগপ্রাপ্তদের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা বিতরণ ও সরবরাহ কেন্দ্রে পদায়ন করা হয়।
দুদকে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাকিউল ইসলাম ও নির্বাহী পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) সৈয়দ গোলাম আহম্মদসহ কয়েকজন কর্মকর্তা এ অনিয়ম করেছেন। তাঁরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। অভিযোগ পেয়ে দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগ-১ নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়ে গত ১৫ জানুয়ারি নেসকোকে চিঠি দিয়েছে। সম্প্রতি নিয়োগের নথিপত্র দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুদক ইতিমধ্যে নেসকোর কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকিউল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা (নেসকো) কাজ করছে। এ বিষয়ে তিনি এখন কথা বলতে চান না। পরে কথা বলবেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-১) মো. আশিকুর রহমান বলেন, অনিয়মের অনুসন্ধান কার্যক্রম এখনো চলছে। অনুসন্ধান শেষে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
মন্তব্য করুন