মৌলভীবাজার (জুড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গৃহপালিত গরুতে ক্রেতাদের ঝোঁক

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পথে পথে বসেছে গরুর হাট। ছবি : কালবেলা
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পথে পথে বসেছে গরুর হাট। ছবি : কালবেলা

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পশুরহাট। তবে এবার ক্রেতারা দেশি জাতের গরুর দিকেই ঝুঁকছেন। তাই স্থানীয় গৃহপালিত গরুর ব্যাপক চাহিদা।

গৃহপালিত গরু কিনতে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন ক্রেতারা। টানা বৃষ্টিপাতে গরুর হাটে তৈরি হয়েছে ব্যাপক কাঁদা। ফলে বাড়ি থেকে গরু কিনতে এবারও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন ক্রেতারা।

এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পথে পথে বসেছে গরুর হাট। উপজেলার সবচেয়ে বড় হাট কামিনীগঞ্জ বাজার (লামা বাজার) ও ফুলতলা বাজারসহ অন্যান্য জায়গার কোরবানির ঈদকে উপলক্ষ করে অস্থায়ী কোরবানির হাট স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু এসব বাজারে নেই ক্রেতা বিক্রেতাদের আগ্রহ। ক্রেতারা ছুটছেন মূলত স্থানীয় খামারিদের কাছে।

কোরবানির হাটে তাদের অনাগ্রহের কারণ হিসেবে ক্রেতারা জানান, গৃহপালিত গরুর মাংসের সঙ্গে আমদানিকৃত গরুর মাংসের স্বাদের পার্থক্য রয়েছে। এ ছাড়াও দেশি গরু খোলা মাঠে চরিয়ে লালন পালন করেন ক্ষুদ্র খামারিরা।

এদিকে কোরবানির হাটগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকায় বাজার ইজারাদাররাও হতাশ। তাদের মতে, এমন পরিস্থিতি আগে ছিল না। চলতি বছর বেশিরভাগ ক্রেতাই হাট বাজার বিমুখ। বেশিরভাগ খামারিরা তাদের গরু খামার থেকেই বিক্রি করতে চাইছেন। ফলে বাজারে গরুর সংখ্যা কম হওয়ার কথা।

খামারি ও ইজারাদারদের অভিযোগ রয়েছে সীমান্তের ওপার থেকে আসা চোরাই গরুর কারণে দাম কম পাওয়া যাচ্ছে। তাদের দাবি, খামারিদের স্বার্থে এগুলো খতিয়ে দেওয়া দরকার।

বাজারে বাড়তি দামের অভিযোগও রয়েছে বরাবরের মতোই। আর বিক্রেতারা বলছেন, চড়া দামে গোখাদ্য কিনে পশু লালন-পালনের পরও বাজার মন্দা।

সামছু মিয়া নামের এক ক্রেতা জানান, গ্রাম থেকে গরু কেনাই সাশ্রয়ী বলে মনে করি। এতে সময় বাঁচে ও ভালো গরু পাওয়া যায়। আমাদের গ্রামে অনেক মানুষ গৃহপালিত গরু পালন করেন। গ্রামের খোলা মাঠে এসব গরু ঘাস খেয়ে বড় হয়। মাংসের জন্য গ্রামে পালিত এসব গরুর তুলনা হয় না। আমি সবসময় দেশি গরু কেনার জন্য ছুটে বেড়াই এটার আমার ও ছেলে মেয়েদের ঈদ আনন্দ।

জুড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রমা পদ দে জানান, প্রবাসী অধ্যুষিত এ উপজেলায় দিনকে দিন বাড়ছে কোরবানির পশুর চাহিদা। সেই সঙ্গে বেড়েছে এর সংখ্যা। উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক খামার রয়েছে। চাহিদার কথা ভেবে দেশি ও বিদেশি জাতের ছোট-বড় গরু রয়েছে এসব খামারে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি খামারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে, যাতে করে কেউ অসৎ উপায়ে গরু মোটাতাজা না করতে পারে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইউক্রেন সফরে গিয়ে বিপাকে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

সতর্কবার্তা দিয়ে পুলিশের বিজ্ঞপ্তি

পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস গড়তে জবি ছাত্রদলের সৌন্দর্যবর্ধন ক্যাম্পেইন

যেসব সাংবাদিক মবের ভয়ে আছেন, তারা ফ্যাসিবাদের দোসর : প্রেস সচিব

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন

মনোনয়নের দাবিতে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ

পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে বিমান বিধ্বস্ত নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন ট্রাম্প

মালয়েশিয়ায় ৪৩ হাজার অভিবাসী কর্মী গ্রেপ্তার

কান্নায় ভেঙে পড়লেন ডিসি সারওয়ার আলম

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে সিএসই ডে ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

১০

সংবাদ প্রকাশের ক্ষোভে সাংবাদিক শামছুলের বিরুদ্ধে জিডি

১১

অস্ত্র-গুলিসহ দুলাভাই বাহিনীর সদস্য গ্রেপ্তার

১২

বুটেক্সের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৩

এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু, মূল্য কত?

১৪

বিশ্বকাপ মন্তব্যে রোনালদোকে মেসির পাল্টা জবাব

১৫

জানা গেল চট্টগামে বিএনপি কর্মীকে খুন করল কারা

১৬

উত্তরা ইউনিভার্সিটি ও বিইউএফটি প্রক্টরিয়াল টিমের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৭

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত অবস্থার তথ্য চেয়েছে ইসি

১৮

অনশনরত আমজনতার তারেককে বিএনপির পক্ষ থেকে সংহতি

১৯

পদ্মার চরে গড়ে উঠছে একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনীর ত্রাসের সাম্রাজ্য

২০
X