সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৪, ০৯:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বন্যা পরিস্থিতিতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সুনামগঞ্জের ৬ ইউনিয়ন

পানির নিচে তলিয়ে গেছে নামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের সড়ক। ছবি : কালবেলা
পানির নিচে তলিয়ে গেছে নামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের সড়ক। ছবি : কালবেলা

১৫ দিনের ব্যবধানে ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে আবারও সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে, প্লাবিত হচ্ছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল। টানা কয়েকদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আর পাহাড়ি ঢলের কারণে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে সুরমা, চেলা, খাসিয়ামারা ও চিলাই নদীর পানি। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামের নিম্নাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সদরের সঙ্গে ছয়টি ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

দোয়ারাবাজার-বোগলাবাজার শরীপপুর গ্রামের পাশের সড়ক ও দোয়ারাবাজার-বাংলাবাজার ব্রিটিশ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সুরমা-লক্ষিপুর-বোগলাবাজার-বাংলাবাজার-নরসিংপুর-দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের। ইউনিয়নগুলোর প্রায় শতাধিক গ্রামের মানুষ এখন পানিবন্দি রয়েছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবল বেগে প্রবেশ করছে পাহাড়ি ঢলের পানি।

গত শুক্রবার ও শনিবার সকালে সীমান্তবর্তী এলাকায় পাহাড়ি ঢলের কারণে নোয়াগাঁও বেড়িবাঁধ, ইদ্রিছপুর বেড়িবাঁধ ও বোগলাবাজার ইউনিয়নের বিজিবি ক্যাম্পের পাশে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় ২০টি গ্রামের বাড়িঘরে পানি ওঠে। বোগলাবাজার ইউনিয়নের কইয়াজুড়ি, পেকপাড়া, বাগাহানা, বোগলা, লক্ষিপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, দৌলতপুর, ইদ্রিছপুরের বাঁধ ভাঙায় বক্তারপুর, খাগুরা, মহব্বতপুর, বহরগাঁও গ্রামে পানি ঢুকে শতাধিক বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোথায় কোনো বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোট ১৭ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতসহ আগাম সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

সদর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের সুরমা নদীর পাড়ের বাসিন্দা মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, একদিকে রাত পোহালেই ঈদুল আজহার কোরবানির জন্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে, অন্যদিকে ঘরের বারান্দায় পানি উঠেছে। কোরবানি দেওয়ার জন্য আনা গরু কোথায় রাখবো তা নিয়ে সমস্যায় আছি। পানি যদি আরও বেড়ে যায় তাহলে বড় সমস্যায় পড়ে যাব।

দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নেহার নিগার তনু বলেন, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে উপজেলার কয়েক জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি বাড়ি ঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। কোনো ধরনের সমস্যা হলে আমাদের হট লাইন নম্বর ২৪ ঘণ্টা খোলা রয়েছে। এ ছাড়াও তাৎক্ষণিক যেকোনো এলাকায় পৌঁছার ব্যবস্থা রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশ্বকাপে ভারতের শুভসূচনা

বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ দলে দুঃসংবাদ

এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের বড় জয়

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

পূজায় কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই : ডিএমপি কমিশনার

হাসপাতালের বিছানায় সাবেক মন্ত্রীর বিতর্কিত ছবি নিয়ে যা বলছে কারা কর্তৃপক্ষ

বিএনপির পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে নর্থ আমেরিকা পররাষ্ট্র কমিটির বৈঠক

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সকলে মিলে দেশ গড়বো : ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ

বকেয়া বিল আদায়ের ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

ঐক্যবদ্ধভাবে অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে : সেলিমুজ্জামান 

১০

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘প্রবাহ’

১১

চবির ফারসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম অভিযোগ গেল দুদকে

১২

একজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে হাসপাতাল

১৩

চারদিন পর খাগড়াছড়িতে অবরোধ স্থগিত

১৪

চলতি অর্থবছর কেমন হবে, জানাল এডিবি

১৫

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবাই মিলে দেশ গড়ব : ড. ফরিদুজ্জামান

১৬

সিপিআর বাঁচাতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লাখো প্রাণ

১৭

‘আল্লাহ, তুই দেহিস’ / সেই বৃদ্ধের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার

১৮

গানপাউডারসহ আ.লীগ কর্মী গ্রেপ্তার

১৯

চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্বে ১৪ হাজারের বেশি আনসার-ভিডিপি

২০
X