বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৪, ০২:৫৯ এএম
আপডেট : ২১ জুন ২০২৪, ০৫:১২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

নারায়ণগঞ্জে দুই প্রকৌশলীর ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

প্রকৌশলী কাঞ্চন কুমার পালিত ও প্রকৌশলী আব্দুল কুদ্দুস। ছবি : সংগৃহীত
প্রকৌশলী কাঞ্চন কুমার পালিত ও প্রকৌশলী আব্দুল কুদ্দুস। ছবি : সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের কার্যালয়ে দুই প্রকৌশলীর সঙ্গে জহির নামে এক ব্যক্তির প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাঞ্চন কুমার পালিত ও সাবেক সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে জহির নামে এক ব্যক্তি ঘুষ নিয়ে দর কষাকষির করছেন। ভিডিওধারনকারী জহির নামে ওই ব্যক্তি নিজেই ঘুষ নিয়ে প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং টাকা গুনে গুনে তাদের দিচ্ছেন।

ইতোমধ্যে মোবাইল ফোনে ধারণ করা পাঁচ মিনিটের ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ভিডিওটি এক বছর আগের এবং এটি কোনো ঘুষ লেনদেন নয় বলে দাবি করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাঞ্চন কুমার পালিত।

অভিযোগের বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাঞ্চন কুমার পালিত জানান, এই ভিডিওটি এক বছরের আগের। জহির নামে ওই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের কোনো ঠিকাদার নন। জেলা পরিষদের একটি জরুরি মেরামত কাজের বিলের টাকা দেওয়ার সময় এই ভিডিও গোপনে ধারণ করা হয়েছিল। সেই সময় আরেক ঠিকাদার থেকে সাব কন্টাক্টে একটি কাজের টাকা নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। সেই কাজের বাকি টাকা সে ফেরত দেয়। সেটা ভিডিওতেই দেখা যাচ্ছে। সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কুদ্দুস সাত মাস আগে এখান থেকে বদলি হয়ে গেছেন। এই ভিডিও দিয়ে জহির প্রায় সময় আমাকে হুমকি দিত।

বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার এসব অপকর্মের বিষয় টের পাওয়ার পর তাকে বদলির জন্য ডিও লেটারও দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু প্রকৌশলী পালিতের রহস্যজনক ক্ষমতার জোরে এখনও তাকে বদলি করা হয়নি।

এদিকে ভিডিও ধারণকারী প্রকৌশলীদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করা সেই জনৈক জহিরকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও ফোন রিসিভ হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি। উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাঞ্চন পালিতের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আগে থেকেই উঠে আসছে। তাকে বদলির জন্য মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটারও দেওয়া হয়েছে। আর সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কুদ্দুস এখন আর এখানে কর্মরত নন। কয়েকমাস আগেই তিনি বদলি হয়ে গেছেন।

তিনি আরো বলেন, জহির নামে জেলা পরিষদের কোনো ঠিকাদার নেই। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। কারও কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি বা অপকর্ম আমি সহ্য করবো না। এসব অপকর্মে সরকারের ও প্রধানমন্ত্রীর বদনাম হবে। এটা হতে দেওয়া যায় না। বিষয়টি আমি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে জানাব এবং কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুই শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনায় আহমাদুল্লাহর উদ্বেগ

সরকারি কর্মচারীরা দাফনের জন্য পাবেন টাকা

দেড় যুগেও নির্মাণ হয়নি জহির রায়হান মিলনায়তন

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

৫ অভ্যাসে বার্ধক্যেও ভালো থাকবে হৎপিণ্ড

অনশন প্রত্যাহার করল বেরোবি শিক্ষার্থীরা

‘ভুল চিকিৎসায়’ একদিনে দুই শিশুর মৃত্যু

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর

কাভার্ডভ্যানের চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু

মাস্ক পরে হাসপাতালে দীপু মনি

১০

ছাত্র সংসদের দাবিতে ‘আমরণ অনশন’ ঘিরে বিভক্ত বেরোবির শিক্ষার্থীরা

১১

বন্ধুত্ব চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন : লায়ন ফারুক

১২

গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর

১৩

জাজিরা হাসপাতালে দুদকের অভিযান, অনিয়মে জর্জরিত স্বাস্থ্যসেবা

১৪

ডেজার সভাপতি প্রকৌশলী রুহুল আলম, সম্পাদক প্রকৌশলী চুন্নু

১৫

নানা আয়োজনে গাকৃবিতে মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন

১৬

বিপিএলের ফিক্সিং ইস্যুতে যা বললেন তামিম

১৭

রাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু বুধবার

১৮

এবার সিলেটের উৎমাছড়া থেকে ২ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ

১৯

জমি রেকর্ড সংশোধনের মামলা দায়েরের শেষ সময় সেপ্টেম্বরে

২০
X