কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৪, ০৬:৫২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

কুড়িগ্রামে উজানের ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। ছবি : কালবেলা
নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। ছবি : কালবেলা

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগ্রামের ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় চর-দ্বীপচরগুলোর নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে চরম ভোগান্তিতে আছেন এসব বানভাসী মানুষজন। গত ৪ দিন ধরে ধরলা ও তিস্তায় বইছে বিপৎসীমার উপর দিয়ে। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও গঙ্গাধর নদে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙনের কারণে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) বিকেলে পাউবো’র দেওয়া তথ্য বলছে, গত ১২ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৪৪ সেমি ও ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ৭ সেমি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও গঙ্গাধর নদে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ধরলা নদীর ভাঙনে রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কিং ছিনাই, জয়কুমার ও নামা জয়কুমার গ্রামের কমপক্ষে ১০টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে বাঁধের রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে জয়কুমার আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ কিং ছিনাই গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক পরিবার। একই উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালীরহাট ঘাট এলাকায় তিস্তার ভাঙণে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাজার ভাঙণের ঝুঁকিতে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে রৌমারী ফেরী ঘাট ও উপজেলার বন্দবের ইউনিয়নের চরবন্দবেড়, ফলুয়ারচর, পালেরচর, কুটিরচর, দক্ষিণ ফলুয়ারচর, পশ্চিম ফুলুয়ারচর, খনজনমারা, দক্ষিণ বাগুয়ারচর ও চর শৌলমারী ইউনিয়নের খেদাইমারী, ঘুঘুমারী, সুখেরবাতি, সোনাপুর, চর খেদাইমারী, শেখের বাজারসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার।

রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কিং ছিনাই এলাকার বাসিন্দা রাশিদুল হাসান জানান, গতকাল থেকে ধরলা নদীর পানি বেড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এক দিনের ব্যবধানে ধরলা পাড়ের প্রায় ১৫টি বাড়ি ভেঙে গেছে। এছাড়াও নামা জয়কুমার, জয়কুমার ও কিং ছিনাই গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার ও বন্যা আশ্রয়ন প্রকল্পের বিল্ডিংসহ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙন রোধে এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, গতকাল থেকে কুড়িগ্রামে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এই মুহুর্তে জেলায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন তীব্র আকারে দেখা দিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তায় ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন কাজ করছে। শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জেলার ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, কুড়িগ্রামে উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার্তদের উদ্ধারের জন্য সবরকম প্রস্তুতি রয়েছে। বন্যার্তদের জন্য নগদ অর্থ ও পর্যাপ্ত চাল মজুদ রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পুরো অ্যাশেজ থেকেই কি ছিটকে গেলেন অজি তারকা?

দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত, শেষ স্ট্যাটাস ভাইরাল

ঢাবি শিক্ষক কার্জনের জামিন

৩ বছর বিদেশে থেকেও ভোগ করেন বেতন-ভাতা

রহস্যময় বেলুনে লিথুনিয়ার বিমানবন্দর বন্ধ

বাউল শিল্পী-সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় এনসিপির নিন্দা

রাতে ঘুমানোর আগে ঘরোয়া টোটকায় পা হবে নরম তুলতুলে

সিনিয়রদের মুখের ভাষাকে দুর্ভিক্ষ বলে এনসিপি নেতার পদত্যাগের ঘোষণা

‘আগামী ৫ বছরে মামলার সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমবে’

২৪ ঘণ্টায় ১১৮ ভূমিকম্প

১০

রোনালদোর অবিশ্বাস্য বাইসাইকেল কিকে আল-নাসরের টানা নবম জয়

১১

দেড় বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন কেন উইলিয়ামসন

১২

মার্কিন ভিসা না পাওয়ায় ভারতীয় চিকিৎসকের আত্মহত্যা

১৩

২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

১৪

বনশ্রীতে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নারীর

১৫

ধরা দেওয়া শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার পর যা বললেন আকবর

১৬

মানুষ ইসলামের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে : চরমোনাই পীর

১৭

লা লিগায় আবারও হোঁচট খেল রিয়াল

১৮

হত্যার ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

১৯

এসির রিমোটে লুকানো ‘গোপন’ সুইচে বিদ্যুৎ বিল হবে অর্ধেক

২০
X