শেরপুরের নকলায় চতুর্থ শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের চরবসন্তী গ্রামে।
ভুক্তভোগী মেয়েটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনা জানাজানি হলে গত শুক্রবার রাতে তার দাদি বাদী হয়ে নকলা থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ধর্ষক নুরুল ইসলামকে (৪৫) শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
নুরুল ইসলাম চরবসন্তী গ্রামের জনৈক আছর বেপারীর ছেলে এবং সে পেশায় একজন কৃষক।
জানা যায়, ভুক্তভোগীর (১২) বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। সেখানে তারা বিভিন্ন ধরনের দিনমজুরির কাজ করেন। তাদের স্বপ্ন ছিল মেয়েকে লেখাপড়া করিয়ে মানুষের মতো মানুষ বানানো। যার জন্য তারা মেয়েটিকে দাদির কাছে রেখে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন। পারিবারিক কেনাকাটা করতে প্রায়ই ওই ভুক্তভোগী চরঅষ্টধর ইউনিয়নের নারায়ণখোলা বাজারে যাওয়া-আসা করত। সে সুবাদে নুরুল ফুঁসলিয়ে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে একপর্যায়ে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তার দাদি বাদী হয়ে মামলা করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নকলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন উদ্দিন বলেন, ‘স্কুলছাত্রীর দাদির লিখিত অভিযোগ পেয়ে গত শুক্রবার রাতে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তীতে অভিযান পরিচালনা করে নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।’
মন্তব্য করুন