কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পিএম
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আমি আয়নাঘরে কখনই চাকরি করিনি : জিয়াউল আহসান

আদালতে জিয়াউল আহসান। ছবি : সংগৃহীত
আদালতে জিয়াউল আহসান। ছবি : সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে তাদের বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

পরে ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে উঠানো হয় ৮ কর্মকর্তাকে। এ সময় প্রিজন ভ্যানের মধ্যে থেকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে জিয়াউল আহসান বলেন, আমি আয়নাঘরে কখনই চাকরি করিনি।

তার বিরুদ্ধে গুম-খুনের অভিযোগ আছে; সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ দেওয়া হবে না।

এর আগে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তাদের পুরনো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

ট্রাইব্যুনালে যাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে- সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে এই ৮ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেন।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই ৮ কর্মকর্তা আত্মগোপনে ছিলেন। বিভিন্ন সময় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদেশ মোতাবেক আজ তাদের আনা হয় ট্রাইব্যুনালে। এদের মধ্যে ছয়জনকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আনা হয়েছে। বাকি দুজনের মধ্যে সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রসিকিউশন অফিসে ১২৫টির মতো অভিযোগ জমা পড়ে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা বরাবরও অভিযোগ জমা পড়ছে। এর মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে গত সোমবার জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথমবারের মতো ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও সাবেক একজন বিচারপতিসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টিভিতে আজকের খেলা

আঙুল ফোটানো কি সত্যিই ক্ষতিকর? কী বলছে চিকিৎসাবিজ্ঞান

অস্ত্র ঠেকিয়ে স্কুলছাত্রকে অপহরণ

সৌদি আরবে মাদক পাচারের অপরাধে ৬০০ জনের মৃত্যুদণ্ড, বেশিরভাগই বিদেশি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা শুল্ক আলোচনা শুরু আজ

বিবিসির অনুসন্ধান / আন্দোলনকারীদের দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা

এক কলেজে ৩ অধ্যক্ষ

টেক্সাসে আকস্মিক ভয়াবহ বন্যা, নিখোঁজ শত শত

উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলার মাটিতেই শেখ হাসিনার বিচার হবে : আফরোজা আব্বাস

১০

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছেন ১৬২ বাংলাদেশি

১১

সিলেটে জনতার হাতে আটক আ.লীগ নেতা

১২

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

১৩

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার

১৪

সৌদি-ইরান বৈঠক, কী আলোচনা হলো?

১৫

মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড, রিমান্ড শেষে কারাগারে ৪ অভিযুক্ত

১৬

রাশিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১৭

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়

১৮

০৯ জুলাই : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৯

চবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সেক্রেটারি পারভেজ

২০
X